মোয়াজ বিন আজহারের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ট এলাকাবাসীর অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস। রিভলবার উঁচিয়ে কথা বলা আর নিজেকে মেজর বলে পরিচয় দিয়ে ফায়দা হাসিল, সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জায়গা দখল আর ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বেড়ানো যার কাজ, তিনি হলেন সংক্ষিপ্ত চাকুরী জীবনে অবসরপ্রাপ্ত এক মেজর পরিচয় দানকারী মোয়াজ বিন আজহার থাকেন আখালি নয়া বাজার এলাকায়। মিথ্যে দাপট দেখিয়ে এলাকার মাদকাসক্ত ছেলেদের নিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করাই তার বর্তমান পেশা। জানা যায় ২১ মে একটি হত্যা চেষ্টা মামলায় মোয়াজ বিন আজহার হাজিরা দিতে এলে বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এখবর এলাকায় পৌঁছার পর কুমারগাঁওয়ের নজিররের গাঁও এলাকায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ। জানা গেছে ২০২২ সালের ৪ জুলাই লাইসেন্সধারী রিভলবারের মালিক কথিত অবঃ মেজর মোয়াজ বিন আজহার একদল সন্ত্রাস বাহিনী নিয়ে জালালাবাদ থানার কুমারগাঁও মৌজার এক প্রবাসীর বাড়ীর গেইট এবং দেয়াল ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে জায়গা দখলের চেষ্টা চালালে আশপাশ এলাকার লোকজন সন্ত্রাসীদের ঘেরাও করে ফেলে, এঅবস্থায় সন্ত্রাসীরা ভাংচুর চালাতে থাকলে প্রবাসীর শ্যালক শাহান মিয়া বাধা দিলে রিভলবার তাক করে তাকে গুলি করতে চাইলে এলাকার লোকজনের ধাক্কায় গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে সেদিন প্রবাসীর শ্যালক শাহান মিয়া প্রাণে বেঁচে যান। এসময় এলাকার কেবা কারা জরুরী নম্বর ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে থানায় গিয়ে এক রাউন্ড গুলি ছোড়ার জিডি করেন মোয়াজ বিন আজহার। উল্টো প্রভাব খাটিয়ে প্রবাসীর শ্যালকসহ সতের জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর মামলা রেকর্ড করিয়ে এলাকা ছাড়ার পরিকল্পনা করেন। এদিকে প্রবাসীর পক্ষ থেকে মামলা করতে গেলে বিলম্ব হয়ে গেছে দেখিয়ে থানা মামলা গ্রহণ করেনি । পরে আদালতে মামলা করলে ডিবি পুলিশের তদন্তে মোয়াজ বিন আজহারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করলে এম এম-৩ আদালত দীর্ঘ দুই বছর পর সাতজন আসামীর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৪৩/৪৭/৪২৭/৪৪০/৩০৭ ধারায় সমন জারী করেন । সমন পেয়ে আদালতে হাজির না হলে মোয়াজ গংদের বিরুদ্ধে ২০ মে ২০২৪ গ্রেফতারী পরোয়ানার আদেশ হয়। ২১ মে ২০২৪ তারিখে কথিত মেজর অবঃ মোয়াজ বিন আজহার সহ আরো ৫ জন আদালতে জামিন নিতে এলে বিজ্ঞ আদালত অস্ত্র ব্যবহারও খুনের প্রচেষ্টারদায়ে অভিযুক্ত মোয়াজ বিন আজহারকে জামিন না দিয়ে জেলহাতে প্রেরণ করেন। অপরাপর আসামীদের জামিন দেওয়া হয়। সন্ত্রাসী মোয়াজ বিন আজহার আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় খুশিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন শান্তি প্রিয় মানুষ । জালালাবাদ সিআর মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন নিয়াজ বিন আজহার মাজহার, বিন আজহার, মেহেদী বিন আজহার, ফখরুল ইসলাম, সুহেল, আয়াতুল্লা বুদু। লন্ডন প্রবাসীর শ্যালক শাহান মিয়া জানান তাঁর বোন এবং বোনের জামাই লন্ডন প্রবাসী জালালাবাদ থানার ,কুমারগাঁও মৌজার এম এ ৪৮ আর এস ১৭১৪ খতিয়ানের এবং এম- এ ২১৯ আর এস দাগ নং ৯৭০৫ জায়গা তাঁদের ক্রয়কৃত। বহুদিন ধরে কথিত অবঃপ্রাপ্ত মাদকাসক্ত মোয়াজ বিন আজহারের কুনজর পড়ে জায়গাটির উপরে। অনেকবার জায়গা দখলের চেষ্টা করেছে। এখনো তার পায়তারা অব্যাহত আছে । আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমরা চুড়ান্ত হয়রানির শিকার হচ্ছি। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ও স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । তিনি বলেন ভুমি খেকো মোয়াজ বিন আজহার নামীয় রাহু গ্রাস থেকে সরকারের কাছে ভিটেমাটির রক্ষার নিশ্চয়তা চান আমার প্রবাসী বোন এবং বোনের স্বামী। জন্মভুমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ করতে কয়েকবার দেশে এসে মোয়াজ বিন আজহারের হুমকী ধামকীতে ভয়ে লন্ডনে ফিরে গেছেন তারা। ঘর করতে গেলেই হামলা মামলার ভয় দেখান ।