স্বামী ও ছেলেসহ হামলার শিকার হয়েছেন সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতানা। এ ঘটনায় তার স্বামী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক ও দুই ছেলে সোহেল রান এবং দিপু আহত হয়েছেন। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহরের মুজিব সড়কস্থ একটি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতানা হকের শাশুড়ি, ননদ, দেবর জাহিদুলের স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সুলতানা হক সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও বর্তমানে কাজিপুর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী প্রার্থী হিসেবে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যার পর নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের গোয়াল বাথানে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রুপসা বাজার এলাকায় পৌঁছালে প্রতিপক্ষের লোক শাহিনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন দেশীয় অস্ত্রসহ সুলতানা হক, তার স্বামী তোজাম্মেল হক সরকার, তাদের ছেলে সোহেল রানা ও দিপুর ওপর হামলা চালায়। তারা সবাইকে মারপিট করতে থাকলে এলাকাবাসী নাটুয়ারপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে আড়াল করতে আমাদের পরিবারের মাদকাসক্ত সদস্য জাহিদুল ইসলামকে ব্যবহার করে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। জাহিদুল এরই মধ্যে বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়েছে। মৃত বাবার সম্পত্তি বিক্রি করে সে নেশা করেছে। বারবার চেষ্টা করেও তাকে মাদকের পথ থেকে সরানো যায়নি। তার স্ত্রী-সন্তানকে দু’বছর ধরে ভরণপোষণ করে না। স্ত্রী-সন্তান থাকতেও আরেক মাদকাসক্ত নারীকে বিয়ে করেছে। তাকে ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের লোকজন ফেসবুকে মিথ্যাচার করছে। এ বিষয়ে কাজিপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক ও তার দুই ছেলের ওপর হামলা ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু ঘটনাটি সদর থানা এলাকায় ঘটেছে। এ কারণে আমাদের এখানে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।