যথাযথ মর্যাদায় ও আনন্দমুখর পরিবেশে নয়া দিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান সকালে হাই কমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন।
দিবসটি উপলক্ষে হাই কমিশনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।
হাই কমিশনার রহমান তার বক্তব্যে বলেন, “সার্বিক মুক্তির মধ্য দিয়ে একটি উদার, উন্নত ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য।” সেই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে তিনি সকলকে তাদের প্রয়াস অব্যাহত রাখতে বলেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে পুরুষের পাশাপাশি আমাদের নারীদের বিশেষ অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। হাই কমিশনার মুক্তিযুদ্ধের সুমহান চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপম আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে শামিল হতে সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
অন্যান্যের মধ্যে হাই কমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অভিযাত্রার উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু এবং বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সকল পর্যায়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বাংলাদেশ হাই কমিশনের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যায় হাই কমিশন প্রাঙ্গণে এক বিশেষ অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মিনাক্ষি লেখী। অনুষ্ঠানে স্বাগতিক দেশের বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের জন্য বিভিন্ন বাংলাদেশি খাবার পরিবেশন করা হয়।