সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেছেন, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকার বদ্ধপরিকর। এ ব্যাপারে কোনো আপস করা হবে না।
এছাড়া সড়কে ওভারলোড নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট জনগণ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আয়োজনে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা দেওয়া প্রতিশ্রুতি ও তথ্য অধিকার সংক্রান্ত অংশীজন বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সচিব বলেন, সরকার সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু কখনও গোপন করতে চায় না এবং এ ব্যাপারে অত্যন্ত সংবেদনশীল বিধায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পাঁচ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের তিন লাখ টাকা ও আহতদের এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে সরকার। এ সংক্রান্ত তথ্যাদি নিয়মিত ওয়েবসাইটে আপলোড করা হচ্ছে। এছাড়া সড়ক নিরাপদ করতে শিগগিরই থি-হুইলার নীতিমালা করা হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে স্পিড গাইড লাইন করা হবে।
খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. ফিরোজ শাহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান ও বিআরটিএ খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ইঞ্জিনিয়ার মো. মাসুদ আলম। মুক্ত আলোচনা করেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক মো. আলমগীর কবির, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদ, বিআরটিএ খুলনা সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, নিরাপদ সড়ক চাই খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না প্রমুখ।
সভায় বিআরটিএ, বিআরটিসি, পরিবহন মালিক সমিতি, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, নিরাপদ সড়ক চাই-এর প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।