লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত রবিউল ইসলাম টুকলুর (৩০) মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারত। রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাতে দহগ্রাম সীমান্তের প্রধান পিলার ডিএমপি ৭ এর উপ-পিলারের তিনবিঘা করিডর হয়ে মরদেহ ফেরত দেয় বিএসএফ। এর আগে একই দিন ভোরে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের আঙ্গরপোতার ১ নম্বর মেইন ও ১ নম্বর সাব পিলার এলাকায় ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশি যুবক রবিউল ইসলাম টুকলু। নিহত যুবক রবিউল ইসলাম টুকলু ওই এলাকার ডাঙ্গারপাড় গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে। বিজিবি জানান, ভারতীয় চোরাকারবারিদের সহায়তায় চিনি ও প্রসাধনী সামগ্রী আনতে কয়েকজন যুবকসহ দহগ্রাম ইউনিয়নের আঙ্গরপোতার ১ নম্বর মেইন পিলারের ১ নম্বর সাব পিলার এলাকায় সীমান্তে প্রবেশ করে রফিউল ইসলাম টুকলু। এ সময় উভয় দেশের চোরাকারবারিদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ৬ ব্যাটালিয়নের অর্জুন কোম্পানি সদরের উমর ক্যাম্পের সদস্যরা। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান রফিউল ইসলাম টুকলু। পরে বিএসএফ সদস্যরা নিহত টুকলুর মরদেহ সীমান্ত থেকে ক্যাম্পে নিলে রোববার সকাল ১১টার দিকে ভারতীয় মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ নিয়ে যায়। ভারতীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বিজিবির আহ্বান করা পতাকা বৈঠকে দুঃখ প্রকাশ করে রাতেই মরদেহ ফেরত দেয় বিএসএফ। নিহত রবিউল ইসলাম টুকলুর বড় ভাই আমিনুর রহমান তার মরদেহ গ্রহণ করেন। লাশ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন, বর্ডারগার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আমানুজ্জামান আমান, পাটগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়ন্ত কুমার সাহা, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) অর্জুন কোম্পানি সদরের কমান্ডার গোপাল কৃষ্ণ পান্ডে, তিনবিঘা বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডার শমসের সিং, কুচলিবাড়ি থানার ওসি অজয় রায় এবং দহগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আমানুজ্জামান আমান বলেন, ভারতীয় অভ্যন্তরে নিহত বাংলাদেশি যুবক টুকলুর মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। এ ঘটনায় বিএসএফ পতাকা বৈঠকে দুঃখ প্রকাশ করেছে।