মাদরাসার অফিস সহকারীর সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় ফরম পূরণ করেও আলীম পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি রাশেদা বেগম নামে এক শিক্ষার্থী। রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে বিচার চেয়ে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রাশেদার মা আমিনা বেগম। রাশেদা উপজেলার কাশিরাম এলাকার মৃত রাশেদুল ইসলামের মেয়ে। তিনি কাশিরাম মাদরাসার আলীম পরীক্ষার্থী। অভিযোগে জানা গেছে, মাদরাসার নির্দেশনা মোতাবেক দুই হাজার টাকার বিনিময়ে আলীম পরীক্ষার ফরম পূরণ করেন রাশেদা। পরীক্ষার প্রস্তুতিও গ্রহণ করেন। অন্যান্য পরীক্ষার্থীর মতো তিনিও গত ১৭ আগস্ট প্রবেশপত্র সংগ্রহের জন্য মাদরাসায় গিয়ে জানতে পারেন তার ফরম পূরণই হয়নি। তাই পরীক্ষার প্রবেশপত্রও আসেনি। টাকা দেওয়ার পরে অনলাইনে ফরম পূরণ ও অর্থ জমা দানের কাজটি করেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। কাশিরাম মাদরাসার অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম মঞ্জু রাশেদার প্রতিবেশী। যার সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে রাশেদার পরিবারের। যা নিয়ে আদালতে মামলাও বিচারাধীন। টাকা দেওয়ার পরেও মেয়ের ফরম পূরণ হয়নি কেন জানতে গেলে মাদরাসার অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম মঞ্জু রাশেদার মা আমিনা বেগমকে গালমন্দ করে তাড়িয়ে দেন। অবশেষে ন্যায় বিচার পেতে রোববার (২০ আগস্ট) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে মাদরাসার অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম মঞ্জু তার মেয়ে রাশেদার ফরম পূরণ করেনি বলে অভিযোগে দাবি করেন আমিনা বেগম। কাশীরাম মাদরাসার অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, অধ্যক্ষ স্যার বলেছিলেন ২৬ তারিখ ফরম পূরণের শেষ দিন। তাই ২৫ তারিখ সন্ধ্যায় রাশেদার ফরম অনলাইনে পোস্টিং দিতে গিয়ে জানতে পারি আগের দিন ফরম পূরণের শেষ দিন ছিল। তাদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ থাকলেও প্রতিহিংসায় এমনটা করিনি। কাশিরাম মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান (রতন) বলেন, রাশেদা ফরম পূরণের টাকা অফিস সহকারীকে দিয়েছিল আমি জানতাম। তবে কি কারণে তার ফরম পূরণ হলো না। তার কারণ আমার জানা নেই। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দোসী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।