লালমনিরহাটের একটি মসজিদের ভিতর পাকা মেঝের নিচ থেকে ওঠা অস্বাভাবিক গরমের কারণে ওই মসজিদে নামাজ আদায় বন্ধ করে দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। যা তদন্ত করার জন্য ৯ সদস্য বিশিষ্ট্য কমিটিও গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোশালা রোডস্থ বাটা মোড় এলাকার রাস্তার পশ্চিমে খাজা বাবা নামের একটি ওয়াক্তিয়া মসজিদ রয়েছে। ওই মসজিদের ভিতরে ইমামের নির্ধারীত স্হান মেহরাবসহ ১০ থেকে ১৫ ফিট জায়গা জুড়ে ৪/৫ দিন যাবত মেঝের উপর সব সময় অস্বাভাবিক গরম থাকায় ইমাম, মুসল্লীদের নামাজ আদায় করা বন্ধ হয়েছে। মসজিদটির ভিতর মেঝের ওপর নিচ থেকে বাহির হওয়া প্রচন্ড গরমের কারণে সেখানে নামাজ আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে মুসল্লিদের ও স্থানীয় জনমনে ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ এমন খবর পেয়ে দুর্ঘটনা এড়াতে ইতিমধ্যে ওই মসজিদে নামাজ আদায় বন্ধ করে দিয়েছে এবং মসজিদটি ঝুকিপুর্ন হওয়ায় বারান্দায় নোটিশ টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তের জন্য ৯ সদস্যের কমিটিও গঠন করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। সমসজিদ সংলগ্ন চায়ের দোকানদার ও ওই মসজিদের মুসল্লী মজিবর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে সবসময় মসজিদের ভিতর মেঝের নিচ থেকে অস্বাভাবিক উত্তপ্ত বাহির হচ্ছে। দাঁড়িয়ে বা বসে নামাজ আদায় করা যাচ্ছে না সেখানে। বর্তমানে মসজিদটি বন্ধ রয়েছে। ওই মসজিদের আরেক মুসল্লী ও স্থানীয় বই ব্যবসায়ি গ্রীন লাইব্রেরির স্বত্বাধিকারী বাদশা মিয়া বলেন, ৫/৬ দিন আগে নামাজ পড়া অবস্হায় হঠাৎ নিচ থেকে গরম অনুভূতি হয় এবং সেই গরম পর্যায়ক্রমে বাড়তে থাকে, সবার কানে বিষয়টি গেলে প্রাথমিক ভাবে নামাজ পড়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। লালমনিরহাট গোশালা রোডস্থ সম্মিলিত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোকছেদুর রহমান এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে আপাতত নামাজ আদায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করছে স্থানীয়রা আশা ব্যক্ত করেছেন দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।