বিশ্ববিখ্যাত যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াক কোয়ারেলি সায়মন্ডস (কিউএস) বিশ্বসেরা টেকসই বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের র্যাংকিং – ২০২৪ প্রকাশ প্রকাশ করেছে। বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের তালিকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি) দেশের দ্বিতীয় সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। গত ০৫/১২/২০২৩ ইং তারিখে ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংস: সাসটেইনেবিলিটি ২০২৪’ শিরোনামে বিশ্বের টেকসই বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে কিউএস। তালিকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি) এর অবস্থান, এরপর আছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। সামাজিক ও পরিবেশগত ইম্প্যাক্ট সূচকে শীর্ষ এক হাজার এবং প্রশাসনিক দক্ষতা সূচকে শীর্ষ ৬৭২তম অবস্থানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়সমুহের তালিকায় অবস্থান করছে বশেমুরকৃবি (এশিয়াতে অবস্থান ৩৯০তম ) যা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার তথা দেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের ব্যাপার। ইতিপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে গ্রহনযোগ্যতা পাওয়া টাইমস হায়ার এডুকেশন (ঞঐঊ) ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি ইম্প্যাক্ট র্যাঙ্কিং ২০২৩ এবং বিশ্বখ্যাত উরি (ডড়ৎষফ’ং টহরাবৎংরঃু জধহশরহমং ভড়ৎ ওহহড়াধঃরড়হ- ডটজও) ২০২৩ র্যাঙ্কিয়েও দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। এর আগে ২০২১ ও ২০২২ সালে পরপর দু’বার দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক মর্যাদাপূর্ণ সিমাগো র্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থান এবং ইউজিসি প্রণীত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে ২০২১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত টানা তৃতীয়বার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পর, নতুন এ অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব ও মর্যাদাকে আরও সমুন্নীত ও সূদৃঢ় করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অসামান্য অর্জনের জন্য মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যসহ সংশ্ল্ষ্টি সবাইকে; বিশেষ করে, র্যাংকিং নিয়ে গঠিত বশেমুরকৃবি প্রমোশনাল টীমকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পরিসরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি আরও সমুন্নত রাখতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে এব্যাপারে সবাইকে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা প্রদানের অঙ্গীকার পূর্ণব্যক্ত করেন।