ঢাকার ধামরাইয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক শিক্ষার্থী ও ৪১তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত রুবেল পারভেজ বাসচাপায় নিহতের ঘটনায় ২৫টি সেলফী পরিবহনের বাস আটক করেছে জাবি শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এসব বাস আটক করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল সাড়ে ৩টা) বাস আটক চলমান রয়েছে। বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রুবেল পারভেজকে চাপা দিয়ে হত্যা করেছে সেলফী পরিবহনের বাস। এই পরিবহনের বাস নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মহাসড়কে চলাচল করে। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে তাজা প্রাণ। অনেক পরিবার তার উপার্জনের একমাত্র সম্বলকে হারাচ্ছে। আমরা এই মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে চাই। পরিবহন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত আমরা সেলফী পরিবহনের বাস সড়কে চলাচল করতে দেব না। আটক সেলফী পরিবহনের একটি বাসের চালক নুরুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ সকালে বাস দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আমাদের বাস আটকানোর পর আমরা বিষয়টি শুনেছি। দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে সেলফী পরিবহনের অন্য বাস। কিন্তু আমাদের যে বাসই পাচ্ছে সেই বাসই আটকে রাখছে শিক্ষার্থীরা। যাত্রীদের সবাইকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আসলে আমাদের কী অপরাধ আমরা এখনো জানি না। তিনি আরও বলেন, শুধু চালকদের দোষ এমনটা নয় বরং যাত্রীদেরও দোষ রয়েছে। যাত্রীরা আইল্যান্ডের পাশে দাঁড়িয়ে থাকে, গাড়ির সামনে দিয়ে আচমকা দৌড় দেয়, ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়া মালিক পক্ষ থেকে সময়ের একটা চাপ রয়েছে। তারা সময় বেঁধে দেয়, সেই সময়ের মধ্যে আমাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। এ কারণে চালকরা দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে গাড়ি দ্রুত চালান। এ ব্যাপারে সেলফী পরিবহনের পরিচালক রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, বাস আটকানোর বিষয়টি শুনেছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। আসলে দুর্ঘটনা রোধে আমরা সাত দিন পরপর মিটিং করি। চালকদের নানাভাবে শাস্তির আওতায় আনি। কিন্তু চালকরা গাড়িতে উঠলেই সব ভুলে যায়। মাইক দিয়ে প্রতিদিন সবাইকে সতর্ক করা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না।