বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে তরুণদের এগিয় যেতে হবে। তরুণদের আদর্শ, কর্মকাণ্ড ও চালিকা শক্তির উপর নির্ভর করছে আগামীর ভবিষ্যৎ। রোববার (২৭ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিশ্বাসী শিক্ষক ফোরামের যৌথ উদ্যাগে শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে বাউবির গাজীপুরস্থ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুনছা মুজিব সম্মেলন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে “তারুণ্যর চোখে বঙ্গবন্ধু” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করলে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্ততবায়ন সম্ভব হব। ১৯৭৫ এর সেই অপশক্তি এখন বেশ সক্রিয়, তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধীদের পরাজিত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করে যুব সমাজকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আহবান জানান উপাচার্য। উপাচার্য আরো বলেন, বর্তমান উন্নয়নের সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেশ কিছু মেগা প্রকল্পসমূহ দৃশ্যমান, সব প্রকল্পগুলা বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ পথিবীর বুকে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে । সেই দিন বেশী দূর নয়। বর্তমান উনয়নর ধারা অব্যাহত থাকল পথিবীর অন্যান্য দেশও বাংলাদেশের উন্নয়নর সূচক উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরবে। আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের অভিঘাত শুধুমাত্র আমাদের রাজনৈতিক অস্তিত্বকেই ক্ষত-বিক্ষত করেনি, আমাদের সংস্কৃতি ও অর্থনীতির ওপরও এই অভিঘাত ছিল অত্যান্ত তীব্র ও হৃদয় বিদারক। বঙ্গবন্ধু সবসময়ই শোষণ, নিপীড়ন, বৈষম্য, সাম্প্রদায়িকতা, ন্যায্যতা ও শ্রমিকের গণতন্ত্রর বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন। তিনি সভ্যতা ও মানবতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে গেছেন। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য তিনি সবসময় জাগরণ তৈরি করছিলন। তিনি তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও চেতনা দিয়ে অনুপম মলবন্ধন ঘটিয়ছেন। তিনি মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়ছিলেন এবং একটি রাষ্ট্রর আগামীর রূপকল্প তৈরি করছিলেন। ছাত্রলীগ নেতা আরো বলেন, কৃষক, শ্রমিক, বুদ্ধিজীবি, তরুণ, শিশু সকলের মাঝই বঙ্গবন্ধুর চেতনা বিদ্যমান। আমাদের যাবতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই বঙ্গবন্ধু রয়েছেন। বঙ্গবন্ধু এক অনুপ্ররণার, চেতনার ও অনুপম আদর্শর নাম। তিনি তাঁর কর্মের কারণে হাজার বছর আরাধ্য, শৃংখল মুক্ত জীবন অর্জন করতে পেরেছিলেন। আলোচনা সভায় বাউবির সহকারী অধ্যাপক মোঃ মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাউবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. নাসিম বানু, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন, ট্রেজারার অধ্যাপক মোস্তফা আজাদ কামাল। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিশ্বাসী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. কেএম রেজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ. শহীদুর রহমান। আলোচনা সভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রেজিস্ট্রার ড. মহা: শফিকুল আলম। সভায় বিভিন্ন স্কুলের ডিন, পরিচালক, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বাউবি’র শিক্ষাথীগণ উপস্তিত ছিলেন। এছাড়াও ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন বাউবির বিভিন্ন আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।