ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় প্রতি বছরে তিনটি ফসল উৎপাদন হয়। পাট, পেঁয়াজ ও ধান উল্লেখযোগ্য। বর্তমানের চলছে রোপা আমন ধানের চাষ। এবার রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১১ হাজার ৫৭৭ হেক্টর জমিতে। এপর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ১০ হাজার ৮৫০ হেক্টর। তবে এবছর ধান চাষে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছেন। জানা যায়, ফরিদপুর জেলার মধ্যে সালথা উপজেলা কৃষিপন্য উৎপাদণে দেশের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে। প্রতি বছরে তিন প্রকার ফসল উৎপাদণ হয়ে থাকে এ অঞ্চলে। শীত মৌসুমে অগ্রায়ন-পৌষ মাসে পেঁয়াজ আবাদ হয়ে থাকে মোট আবাদী জমির ৯০%। বাকি ১০ % জমিতে গম, মুসুরী, খেসাড়ী, ছোলা, ধনে, কালোজিরাসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ করা হয়। পেঁয়াজ উত্তোলণের পর চৈত্র-বৈশাখ মাসে মোট আবাদি জমির ৯৩% পাটের আবাদ হয়ে থাকে। বাকি ৭% জমিতে অন্যান্য ফসলের আবাদ হয়। পাট কাটার পর আষাঢ়-শ্রাবন মাসে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়ে থাকে। সব মিলিয়ে সারা বছর এখানকার কৃষকরা তাদের কৃষিপন্য উৎপাদণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন। উপজেলার ধলা মোল্যা, কামরুল ইসলাম ও সিরাজ মোল্যাসহ কয়েকজন কৃষক বলেন, আমাদের এলাকার জমিগুলোতে বছরে তিন ধরণের ফসল আবাদ হয়ে থাকে। আমরা পাট কাটার আগেই, পাটের মধ্যেদিয়ে ধানের বীজ বপন করেছি। আবার কিছু জমিতে পাট কাটার পরে ধানের চারা রোপন করছি। আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যেই ধানের চারা রোপনের কাজ শেষ হয়ে যাবে। যদি আবহাওয়া ধান চাষের অনুকূলে থাকে আর বর্ষার পানিতে যদি ধান তলিয়ে না যায় তাহলে এবছর ধানের ফলন ভালো হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদ সুদর্শন সিকদার বলেন, সালথা উপজেলায় এবার রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১১ হাজার ৫৭৭ হেক্টর জমি। এপর্যন্ত ধান চাষে অর্জিত হয়েছে ১০ হাজার ৮৫০ হেক্টর। তবে আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। তিনি আরো বলেন, আমরা প্রতিদিন কৃষকের কাছে গিয়ে ধান চাষে কৃষকদের সব ধরণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।