পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের মুক্তি চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আরও একটি চিঠি লিখেছেন মার্কিন কংগ্রেসের ৪৬ জন সদস্য। পাকিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপি এই খবর জানিয়েছে।
এর আগে গত অক্টোবরে ইমরান খানের মুক্তির দাবি জানিয়ে আরেকটি চিঠি লেখেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধশতাধিক আইনপ্রণেতা।
চিঠিতে মার্কিন আইনপ্রণেতারা গত ফেব্রুয়ারি মাসে সাধারণ নির্বাচনে কারচুপি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, অনিয়মের অভিযোগ করেছেন এবং সরকারি সংস্থাগুলো পিটিআইকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।
কংগ্রেস সদস্যরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সীমিত করার জন্য পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছেন। তার ব্যাপক গ্রেফতার, অবৈধ আটক এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে বিধিনিষেধের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন।
চিঠিতে ইমরান খানকে পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বর্ণনা করে তাকে অবৈধভাবে আটকে রাখার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। চিঠিতে ইমরান খান ছাড়াও ইয়াসমিন রশিদ, শাহ মাহমুদ কোরেশির মতো পিটিআইয়ের অন্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের এক বছরের বেশি সময় ধরে আটক রাখার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
কংগ্রেস সদস্যরা ইসলামাবাদে মার্কিন দূতাবাসের নীতি পর্যালোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। চিঠিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে পাকিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ইমরান খানসহ রাজনৈতিক বন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে, গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর চলতি মাসে পিটিআই বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে। ওই সমাবেশ থেকে ইমরান খানের মুক্তির দাবি জানিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারা।
২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। এরপর পাকিস্তানের বিভিন্ন আদালতে তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের মে মাসে গ্রেফতার করা হয় তাকে। বর্তমানে তিনি রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে রয়েছেন।