বগুড়া জেলায় ভালো দামের আশায় আগাম জাতের আলু চাষ করছেন কৃষকরা। ভালো ফলনের অপেক্ষায় দিনগুণছেন তারা। তবে কৃষকরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার বীজের দাম বেড়েছে। এর সঙ্গে সার কীটনাশকসহ শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে লাভ কম হওয়ার শঙ্কাও রযেছে। কৃষি কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ডিসেম্বরের শেষে থেকে জানুয়ারিতে নতুন আলু বাজারে আসবে। জানা গেছে, শস্যভান্ডার খ্যাত বগুড়া জেলায় ২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমি থেকে ৪০ হাজার ৫০০ টন আলু উৎপাদনের প্রত্যাশা কৃষি বিভাগের। বগুড়ায় প্রতিবছরই আগাম জাতের আলু চাষ করে থাকেন জেলার চাষীরা। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। মাঠে মাঠে আগাম জাতের আলুর ক্ষেত পরিচর্যা চলছে। ক্ষেতগুলোতে গাছ বেড়ে উঠে সবুজ বর্ণ ধারণ করছে। বগুড়া জেলার সদর উপজেলা, শিবগঞ্জ, শাজাহানপুর, কাহালু, নন্দীগ্রামসহ বিভিন্ন উপজেলায় এখন আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। জেলার কিছু উপজেলায় আগাম ধান কাটার পর আলু রোপণ করা হচ্ছে। অক্টোবর মাসের শেষ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চলে আলু রোপণ। রোপণের ৬০ দিন থেকে আলু উত্তোলন করেন চাষীরা। প্রতি বিঘায় সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয় আগাম জাতের আলু চাষে। বগুড়া সদর উপজেলার পল্লীমঙ্গল এলাকার আলু চাষী জহুরুল ইসলাম জানান, তিনি ৩ বিঘা জমিতে আলু চাষ করছেন। উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এছাড়া চলতি মৌসুমে বীজ আলুর দাম বেশি। সার কীটনাশকসহ শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে। তাই উৎপাদন খরচ বেশি। তবে ভালো ফলনের আশায় চাষীরা আলুর ক্ষেত পরিচর্যা শুরু করেছেন। তিনি আরো জানান, প্রতি বিঘায় ১০ মণ বীজ আলু লাগে। রোপণের ৬০ দিনের মধ্যে আলু পাওয়া যায়। বিঘায় ৫০ থেকে ৬০ মণ আলুর ফলন পাওয়া যায়। তবে গাছ বেশি দিন থাকলে ফলন বাড়ে। যেহেতু আগাম জাতের তাই দ্রুত আলু উত্তোলন করে বাজারে নিলে ভালো দাম পাওয়া যায়। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম ফরিদ জানান, বগুড়ার মাঠে মাঠে এখন আগাম জাতের আলু চাষে ব্যস্ত কৃষকরা। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সকল ধরণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে আলুর বাম্পার ফলন হবে। কৃষকরা ভালো দাম পাবেন।