শোকাবহ আগস্টকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় মাসব্যাপী নানা কর্মসূচির গ্রহণ করেছে। আগস্টের প্রথম প্রহরে বাউবি ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকসহ কার্যালয়ে টানানো হবে শোকাবহ আগস্টের শোক ব্যানার। সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ ১ আগস্ট থেকে কালো ব্যাজ ধারণ করবেন। বাউবির ওপেন টিভি, ওয়েব টিভি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বাউবি ওয়েবসাইটসহ অফিসের প্যাড, চিঠিপত্র সর্বত্রই আগস্টের শোক ব্যাজ ব্যবহৃত হবে। বাউবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে বঙ্গবন্ধু কর্ণারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব থেকে শুরু করে তাঁর নানা কর্মকান্ডের উপর নানা তথ্য উপাত্ত, বিভিন্ন দূর্লভ দলিল, বঙ্গবন্ধুর লিখিত চিঠি, ভাষণের অনুলিপি ও চিত্র প্রদর্শনী করা হবে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক সংলগ্ন বাউবি মেইন গেটে বড় বড় দুইটি এলইডি স্ক্রিনে জাতির পিতা ও শহীদদের ওপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র, গান, কবিতাসহ তথ্যচিত্র নিয়মিত প্রদর্শিত হবে। আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই আয়োজন করা হয়েছে স্মরণ সভা, বক্তৃতা ও আলোচনা সভার। ৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী এবং ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী যথাযথ শ্রদ্ধা ও মর্যাদার সাথে পালন করতে নেয়া হয়েছে কর্মসূচি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ^াসী শিক্ষক ফোরাম আয়োজন করবে আলোচনা সভার। শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছে রক্তদান কর্মসূচি ও আলোচনা সভার। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বাউবির মূল ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমন, কালো পতাকা উত্তোলন, বাউবির “স্বাধীনতা চিরন্তন ভাস্কর্যে” পুস্পার্ঘ অর্পণ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়ক দ্বীপে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। সন্ধ্যায় বাউবি শিক্ষক সমিতি আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন খতম ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। মাসব্যাপী বাউবির কর্মসূচি উপলক্ষ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, আমাদের ক্ষুদ্র এ প্রচেষ্টা বাউবির ৯ লাখ শিক্ষার্থীর বৃহৎ পরিবার এবং আগামী প্রজন্মের মাঝে অপার সম্ভাবনা ও রূপকল্পের উদ্ভাবনী নতুন এক বার্তা পৌঁছোবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াই এখন আমাদের লক্ষ্য।