ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টার সময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আব্দুস সালামের নেতৃত্বে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ডক্টর শাহাদাত হোসেন আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আগামী ১৯ জুলাই এ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে পাঠানো হবে।
অভিযুক্ত বহিষ্কৃতরা হলেন— পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা অন্তরা চৌধুরী, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।
প্রক্টর বলেন, ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে স্টুডেন্টস কোড অব কন্ডাক্ট ১৯৮৭ এর পার্ট-০২ এর ধারা ৮ অনুযায়ী অভিযুক্তদের ১ বছরের জন্য ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে। এটি এই আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ১৪ ফেব্রয়ারি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনা দেশজুড়ে আলোচিত হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় উচ্চ আদালত তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়, হল ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ এবং হাইকোর্ট কর্তৃক পৃথক পৃথকভাবে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। এর প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় এবং শাখা ছাত্রলীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়।