পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাঈমুজ্জামান মুক্তা সদর উপজেলার কাজীপাড়া নিজ বাসবভন চত্বরে মঙ্গলবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত সদর উপজেলার চাকলাহাট, কামাত কাজলদিঘী ও হাড়িভাসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে পৃথক পৃথক কর্মীসভার আয়োজন করেন। সভায় তিনি বলেন, আগামী দ্বাদশ সংসদ নিবার্চন অনুষ্ঠিত হবে অংশগ্রহণমূলক। কাজেই আগামী জাতীয় সংসদ নিবার্চনে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনতে নৌকা মার্কার প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সময় আর হাতে বেশি নেই তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। তাই পঞ্চগড়-১ আসনের তিনটি উপজেলার ৪৩ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১১৫ টি ভোট কেন্দ্রের কর্মীদের ডাটাবেইজ তৌরির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার কর্মীদের ডাটাবেইজ তৈরি করা হবে। ভবিষ্যতে এ সংখ্যা ৫০ হাজারে উন্নীত হবে। এখন চলছে ডাটাবেইজ তৌরির কাজ। ডাটাবেইজে একজন কর্মীর নাম, গ্রামের নাম, ভোট কেন্দ্রের নাম, জাতীয় পরিচয় পত্র ও মোবাইল নম্বর থাকবে। চলতি মাসই এই ডাটাবেইজ তৌরি করা হবে। আগামী মাসে এসব কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণে প্রচারণার কৌশল, কেনো নৌকা মাকার্য় ভোট দিব তার স্বপক্ষে প্রচারণার কৌশল, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার জন্য উদ্বুদ্ধকরণর কৌশল বিষয়ে ধারণা দেওয়া হবে। সভায় ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি/সম্পাদকসহ অঙ্গ ও সহযাগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।নাঈমুজ্জামান মুক্তা দীর্ঘদিন থেকে পঞ্চগড়ে বিভিন্ন আঙ্গিকে কর্মসুচি চালিয়ে আসছে।তার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল হিসেবে এ জেলার প্রতিটি ওয়ার্ড, পৌরসভা, ইউনিয়নের মানুষ মুক্তা নামেই তাকে চিনেন।বিভিন্ন স্কুল কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে তার অবাধ বিচরণ ছিল। নাঈমুজ্জামান মুক্তা তার ব্যতিক্রম কর্মসূচি চালিয়ে সব সমাজের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন হয়ে উঠেছেন একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা হিসেবে।দিন দিন বাড়ছে তার কর্মী বাহিনীর সংখ্যা। তার কর্মসূচি বাস্তবায়নে যোগ হচ্ছেন ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও উপজেলার নেতারা। এসব কর্মসূচির মধ্য ছিল অসুস্থ অসহায় দুস্থদের আর্থিক সহযাগিতা, মেধাবীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান, সব ধর্মের অনুষ্ঠানে সহযাগিতা করা, করনায় উপহার বিতরণ, রমজান মাস জুড়ে উপহার হিসেবে ইফতার বিতরণ, , দল উপেক্ষিত, ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ নেতাদেরসহ সকল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন,মান অভিমানে দল থেকে দুড়ে থাকা প্রকৃত আওয়ামিলীগ নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে আবার সংগঠনে ফিরিয়ে আনা। সেলাই মেশিন, রিকশা ভ্যান,হুইল চেয়ার বিতরণ, চলাচলের জন্য সাতমেরায় চাওয়াই নদীতে বাঁশের সাঁকো নিমার্ণ, হাড়িভাসার পান চাষীদের ঋণের ব্যবস্থা করা , পুরো আগস্ট মাস জুড়ে ব্যতিক্রমী সব কর্মসূচির আয়োজন, গ্রামে খেলাধুলার আয়োজন পৃষ্টপোষকতা প্রদানসহ নানান সব ব্যতিক্রমি কর্মসূচি পালন করে আসছেন। প্রচার প্রচারনায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে এখন নাঈমুজ্জামান মুক্তা।আলোচিত ব্যাক্তি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন। নবীন প্রবীণ মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে আগামী দ্বাদশ সংসদ নিবার্চনে পঞ্চগড়-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে একজন ক্লিন ইমেজ ও নেতাকর্মীবান্ধব সহ স্বচ্ছ রাজনৈতিক নেতা নাঈমুজ্জামান মুক্তাকে চায়।জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব জানান, নাঈমুজ্জামান মুক্তার সাংগঠনিক দক্ষতা,সততা, সামাজিক কর্মকান্ড ও ভিনধর্মী প্রচারণার কারণ বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আগামী সংসদ নির্বাচনে নাঈমুজ্জামান মুক্তাকে পঞ্চগড়-১ আসন নকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিবেন। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকা মার্কায় ভাট দিয়ে তাঁকে জয় যুক্ত করবোই-ইনশাআল্লাহ।