নওগাঁর নিয়ামতপুরে এবার গমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৩ হাজার ৪শ ৪৫ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যা গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩হাজার ৪শ ২০ হেক্টর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি গম উৎপাদন হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রোগবালাইয়ের তেমন আক্রমণ না থাকায় কৃষকেরা গমের ভালো ফলন পাচ্ছেন। খরচ কম হওয়ায় গম চাষাবাদে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। চলতি মৌসুমে উপজেলার কৃষকদের গম প্রণোদনার বীজ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন প্রদর্শনীর জন্য সার, বীজ ও কীটনাশক দেওয়া হয়েছে। নিয়ামতপুর উপজেলায় বারি ৩০, বারি ৩২, বারি ৩৩, প্রদীপ ও শতাব্দী গম চাষাবাদ হয়েছে। এবার হেক্টর প্রতি গম উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩.৬ মেট্রিকটন। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে প্রতি হেক্টরে গমের ফলন হচ্ছে ৩.৯ মেট্রিক টন। কৃষকেরা জানান, উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে গম আবাদ করায় ফলন ভালো হয়েছে। বিঘাপ্রতি ১২ থেকে ১৬ মণ গম উৎপাদন হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ শামসুদ্দোহা বলেন, ‘রবি ফসলের মধ্যে গম একটি লাভজনক আবাদ। গমচাষে আগ্রহী করতে তালিকাভুক্ত চাষিদের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও উচ্চফলনশীল উন্নত জাতের বারি-৩৩ গম বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, ‘গম চাষ করতে কৃষকদের নানাভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।