কলাপাড়ায় যান্ত্রিক ত্রুুটির কারণে সাড়ে ৪ বছর ধরে বন্ধ খেপুপাড়া রাডার স্টেশন। জাপানের প্রতিনিধিদল পর্যবেক্ষণ করে ত্রুুটি সমাধান করে গেলেও দেখা দিয়েছে নতুন সমস্যা। রেডিয়েশন না হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ নির্ধারণ ও ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত বার্তা দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা এই রাডার স্টেশন থেকে। আগাম সংকেত পাওয়া গেলে দুর্যোগে কমবে উপকূলের মানুষের প্রাণহানী, তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে স্টেশনটি সচল করার দাবী স্থানীয়দের। তবে স্টেশনটি সচলের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। খেপুপাড়া রাডার স্টেশন। উপকূলের মানুষকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি থেকে রক্ষায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে রাডার স্টেশনটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুুটির কারণে স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ আছে সাড়ে ৪ বছর ধরে। দুর্যোগ থেকে প্রাণহানি কমাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে রাডার স্টেশনটি সচল করার দাবী স্থানীয়দের। তথ্য সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে স্টেশনটির ফ্রিকোয়েন্সি ইমেজ শাখার ট্রান্সমিশন সিস্টেম ও সার্ভে সিষ্টেমের যন্ত্রাংশের ত্রুুটির কারণে অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরে গত বছরের অক্টোবরে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি(জাইকা)’র প্রতিনিধিদল রাডার স্টেশনটির সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ত্রুটি সমাধান করেন। কিন্তু এখন দেখা দিয়েছে রেডিয়েশন সমস্যা। রেডিশেন না হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ, শক্তি, তীব্রতা ও অবস্থান নির্ণয় করা যাচ্ছেনা। তাই এটিকে সচল বলা যাচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। খেপুপাড়া রাডার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মাকর্তা আব্দুল জব্বার শরীফ বলেন, ১৯৬৯ সালে খেপুপাড়াতে কনভেশনাল রাডার স্টেশন নির্মাণ করা হয়। এরপর এর প্রযুক্তিগত কার্যকারিতা কমে গেলে, ২০০৮ সালে পুরনো অবকাঠামো ভেঙে জাইকা’র অর্থায়ণে জাপান রেডিও কোম্পানি বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এ রাডার স্থাপন করে। রাডার স্টেশনটি সচল হলে ঠিক সময়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যাবে। এতে করে প্রাণ বাঁচবে সাগরে থাকা এসব জেলে সহ উপকূলের লাখ লাখ মানুষের। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণায় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মহিববুর রমান মহিব জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জাইকাকে চিঠি দেয়ার পর তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। রিপিয়ারের জন্য যেসব সরাঞ্জম দরকার, সেগুলোর তালিকা করে নিয়ে গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধান হবে।