নরসিংদীতে শিবপুর উপজেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ দলীয় ও এমপি মোহনের রাজনৈতিক কার্যালয় আগুনে পুড়ানোর ঘটনায় করা মামলার নেই কোনো অগ্রগতি। এ ঘটনায় করা মামলার অন্যতম আসামী হাজী খোরশেদকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি শিবপুর থানা পুলিশ। তিনি পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে। একই মামলার অপর আসামী আরিফুল ইসলাম মৃধা’কে গ্রেফতার করলেও বর্তমানে জামিনে রয়েছেন তিনি। গত ১৫ মার্চ বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় আরিফুল ইসলাম মৃধা ও হাজী খোরশেদসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন শিবপুর পৌর আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য সেলিম ভূঞা। ১৪ মার্চ রাতে শিবপুর মডেল থানা সংলগ্ন আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে এমপি জহিরুল হক ভূইয়া মোহনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ একটি কূটকৌশলী ও কুচক্রি মহল রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করাসহ আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের এই অফিসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ মূল্যবান আসবাবপত্র পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে তারা। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে আইনগত ভাবে আমি তাদের দৃস্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি। পলাতক আসামী খোরশেদ হাজীর মুঠোফোনে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন। চাঞ্চল্যকর এ মামলার অন্যতম আসামী খোরশেদ হাজী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাকে গ্রেফতার করছেনা থানা পুলিশ। তার খুঁটির জোর কোথায় ? এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ দলীয় নেতাকর্মীসহ স্থানীয়দের মাঝে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। এ বিষয়ে শিবপুর অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানান, এ মামলায় একজন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে পলাতক অন্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।