‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউ ইয়র্কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ মার্চ) অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।এ ছাড়াও বাংলাদেশ কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠৈ।
অনুষ্ঠানের সূচনালগ্নে কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে কনস্যুলেটের অন্যান্য কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭১ ও ১৯৭৫ এর সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
প্রধান অতিথি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসহ সকল আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাধারণ নেতৃত্ব ও অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির রূপরেখা বর্ণনা করেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সহ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাম্প্রতিক সময়ে গৃহিত বিভিন্ন অত্যাধুনিক সেবার কথা উল্লেখ করে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে সকলকে তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
স্বাগত বক্তব্যে কনসাল জেনারেল ড.মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম দিবসের বিশেষ তাৎপর্যের কথা তুলে ধরেন।তিনি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বর্ণনা করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি-‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’-উল্লেখপূর্বক বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতির গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতার উপর আলোকপাত করেন। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও সংগ্রাম সারা বিশ্বের মুক্তিকামী ও শান্তিকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবেন বলে তিনি যোগ করেন। তিনি নতুন প্রজন্মের কাছে জাতির পিতার আদর্শ ও দর্শন ছড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রসারে অবদান রাখার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান।
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে একটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শিশু-কিশোরদের পরিবেশনাসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কন্ঠযোদ্ধা শহীদ হাসান।।