ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই শিক্ষার্থীকে স্থানীয় বখাটে কর্তৃক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সড়ক অবরোধ করে হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় টায়ারে আগুন জালিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়।
জানা যায়, সোমবার (১৩ মার্চ) বিকালে ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া বাজারে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে তাদের উপর হামলা করা হয়। এসময় স্থানীয় বখাটেরা তাদের উপর এলোপাথারি চর, লাথি সহ রাস্তায় ফেলে তাদের উপর হাতিয়ার নিয়ে চড়াও হয়। জীবন বাঁচাতে দৌড়ে ক্যাম্পাস গেটে আসলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ধার করে ইবি মেডিক্যাল এ ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাদের কুষ্টিয়া মেডিক্যাল এ নিয়ে যাওয়া হয়। গুরুতর আহত ইবি শিক্ষার্থীরা হলেন ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ম্যানেজমেন্ট ও ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের মেহেদি হাসান সুপ্ত ও জিসাদ।
আহত শিক্ষার্থীর বন্ধু সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেকে কিছু শিক্ষার্থীদের আড্ডা দেয়ার সময় স্থানীয় বখাটে তাদের সাথে থাকা মেয়ে বান্ধবীদের ভিডিও করে। এর প্রতিবাদে তারা ভিডিও ডিলিট করতে বললে উভয় পক্ষের তর্কাতর্কি হয়। এর প্রেক্ষিতে বখাটে ছেলেরা তাদের মধ্যের দুইজন শিক্ষার্থীকে শেখ পাড়া বাজারে পেয়ে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ফেলে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
এ ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করেন। তারা বহিরাগত মুক্ত ক্যাম্পাস, শিক্ষার্থী হামলার বিচার ও নিরাপদ ক্যাম্পাস সহ তিন দফা দাবি নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্পাসের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাস থেকে দুইজন শিক্ষার্থী মোটরসাইকেলের তেল নিতে শেখপাড়া বাজারের পাম্পে এলে ৮-১০ জন তাদের ঘিরে ধরে। তারপরই তাদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে।
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আননূর জায়েদ বিপ্লব বলেন, আমরা বিষয়টি নজরে রাখছি। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। গেটে পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ঘটনা শোনা মাত্রই ইবি থানার ওসি ও সহকারী প্রক্টরদের সেখানে পাঠিয়েছি। পরবর্তীতে আমি দুইজন সহকারী প্রক্টর নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুলিশ প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা যারা আছে তাদের নিয়ে বসেছি। আমাদের কোনো শিক্ষার্থীকে যদি মারধোর করা হয়ে থাকে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস উত্তপ্ত করা, জনগণের জানমালের ক্ষতি, রাস্তা আটকে মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করা সমর্থন করিনা। আহতদের ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসে চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত অচিড়েই তাদের ব্যবস্থা নেয়া হবে।