ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নির্যাতনের শিকার হওয়ার এক মাস পর নিজের পছন্দের হলে উঠেছেন ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন।
রবিবার (১২ মার্চ) দুপুরে তার হলে উঠার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ। তিনি বলেন, দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ফুলপরী তার বাবাকে নিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন। আমরা খবর পেয়েই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। ফুলপরী তার পছন্দের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ৫০১ নম্বর রুমে উঠেছেন। তার নিরাপত্তার কোনোরুপ ঘাটতি রাখা হবেনা।
ফুলপরী বলেছেন, দুপুর ১২ টার দিকে বাবার হাত ধরে হলে প্রবেশ করেছি। বাবা আমাকে হলে উঠিয়ে দিয়ে গেছেন। সাথে স্যাররা ছিলো। মনে হচ্ছে প্রথমদিনের মতোই ক্যাম্পাসে এসেছি। আপাততো কোনো সমস্যা নেই। আমি ইতিমধ্যেই একমাস পিছিয়ে গেছি। এখন লেখাপড়ার দিকে মনোযোগী হতে চাই। আগামীকাল থেকে নিয়মিত ক্লাশ করবো।
ঘটনার একমাস পার হলেও হলের সিসিটিভি ফুটেজ ও নির্যাতনের দৃশ্য ধারণে ব্যবহৃত মোবাইলটি উদ্ধার না হওয়া নিয়ে ফুলপরী খাতুন বলেন, এটা আসলেই দুঃখজনক। তবে আমি আশাবাদী প্রশাসন আমাকে শুরু থেকে যেভাবে নিরাপত্তা দিয়েছে এই ব্যাপারগুলোও তারা সমাধান করবে।
বঙ্গমাতা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিয়া রাসিদুজ্জামান জানান, দুপুরে সহকারী প্রক্টররা ও আমাদের হল টিউটরদের সাথে করে ফুলপরী হলে এসেছেন। হাইকোর্টের নির্দেশনায় তার আবাসন নিশ্চিত করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তার মেডিক্যাল চেকআপ সম্পন্ন করা হয়েছে, কিছু টেস্ট বাকী আছে যা আগামীকাল করা হবে। আমি হলের স্টাফদের বলে দিয়েছি নিয়মিত ফুলপরীর রুমে গিয়ে তার খবর নিতে এছাড়া হলের অন্যান্য ছাত্রীদেরও বলা হয়েছে ফুলপরীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে যাতে ও খুব তাড়াতাড়ি নিজেকে হলের অন্যদের সাথে মানিয়ে নিতে পারে।
আলাদা নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রভোস্ট বলেন, আমাকে তার আবাসন নিশ্চিতের জন্য বলা হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন বলেন, আমরা ও প্রক্টর তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। এছাড়া তার কোনো সমস্যা হলে আমাদের বলতে বলেছি। আমরা চাই সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক। সে নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করুক।