লালমনিরহাটে পুর্ব শত্রুতার জেরে এক প্রতিবন্ধী কলেজ ছাত্রীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী নিজে বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ ও স্থানীয়দের কাছথেকে জানাযায়, লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের হিরামানিক গ্রামের আব্দুল কাদের আলির কলেজ পড়ুয়া শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে মোছাঃ মিনা খাতুন (২৫) কে হত্যার চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী। মিনা লালমনিরহাটের বড়বাড়ি শহিদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় হতে অনার্স ফাইনাল পরিক্ষা দিয়েছে। গত শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ২:৩০ মিনিটের দিকে প্রতিবন্ধী মিনা খাতুন, মামা মরহুম এনামুল হকের কুলখানি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে যাওয়ার সময়, প্রতিপক্ষ সামসুল হকের বাড়ির সামনে তার পথ রোধ করে একই গ্রামের মৃত আজিতউল্ল্যার ছেলে সামসুল হক (৫০), সামসুলের মেয়ে সেলিনা খাতুন (২৮), মৃত শাহানাত আলীর ছেলে আইয়ুব আলী (৪৫), সামসুল হকের স্ত্রী আলেমা বগম (৪৮) আইয়ুব আলীর মেয়ে মোছাঃ আন্জু বেগম (২৫)। সে সময় প্রতিবন্ধী মিনা খাতুন পথ রোধের কারন জানতে চাইলে, ১ নং অভিযুক্ত সামসুলের নির্দেশে অন্যান্য অভিযুক্ত গণ বাসের লাঠি, লোহার রড, ধারালো ছোড়া, লোহার শিকল নিয়ে অবস্থানকালে ৩ নং অভিযুক্ত আইয়ুব আলীর হাতে থাকা ধারাল ছুরি দিয়ে আঘাত করলে প্রতিবন্ধী মিনা খাতুনের পায়ে প্রতিবন্ধকতা থাকায় পিছু হটার সময় সে পড়ে যায়। পরক্ষণে আবারও ছোড়া দিয়ে আঘাত করলে মিনার পিঠের বাম পার্শে আঘাত করলে আহত হয় শারীরিক প্রতিবন্ধী মিনা। পরবর্তীতে অন্যান্য অভিযুক্তগণ বাসের লাঠি ও রড দিয়ে মারপিট করে গুরুতর আহত করে মীনাকে। এ সময় তার গলায় থাকা এক ভরি ওজনের চেইন ও আট আনা ওজনের এক জোড়া কানের দুল ছিনিয়ে নিয়েছে প্রতিপক্ষ, যার আনুমানিক মুল্য ১ লাখ বিশ হাজার টাকা। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। শারীরিক প্রতিবন্ধী মিনা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভুক্তভোগী কলেজ পড়ুয়া শারীরিক প্রতিবন্ধী মিনা বলেন, আমার ভাগিনার সাথে তাদের বিরোধ। আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী আমার উপরে যে অমানবিক নির্যাতন হয়েছে আমি তার বিচার চাই। এদিকে অভিযুক্ত সামসুল হকের সাথে তার বাড়িতে গিয়ে কথা বললে তিনি বলেন, শুধু মহিলাদের কথা কাটাকাটি হয়েছে। মারামারির বিষয়টি যানা নাই। তবে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দাবি করেছে শহিদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শারীরিক প্রতিবন্ধী মিনা খাতুনের সহপাঠী ও তার প্রতিবেশীরা। আর এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগ পয়েছি। তদন্তে অফিসার পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।