পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে ভ্রমণ কালে মিজানুর রহমান (৩৯) এক পর্যটকের ৪৮ হাজার টাকা হারানো যায়। সেই টাকা কুড়িয়ে পেয়ে ট্যুরিষ্ট পুলিশের মাধ্যেমে ফেরত দিলেন মো. হাবিব নামের এক ফটোগ্রাফার।
শুক্রবার দুপুরে লেম্বুরবন এলাকায় ওই পর্যটক পরিবার নিয়ে ঘুরতে যায় একই পকেটে মোবাইল ও টাকা রাখায় মোবাইল উঠাতে গিয়ে টাকা পড়ে যায়।পরে খোজাখুজি ও মাইকিং করে না পেয়ে হোটেলে চলে আসে। পরে লেম্বুরবনে ছবি তুলতে যাওয়া এক ফটোগ্রাফার টাকাগুলো কুড়িয়ে পেয়ে কুয়াকাটা ফটোগ্রাফার মালিক সমিতির সভাপতির কাছে জমা দিলে। সভাপতি আল আমিন কাজী ট্যুরিষ্ট পুলিশের মাধ্যে ওই পর্যককে খুজে টাকাগুলো ফেরত দেন।
বগুড়া থেকে আগত পর্যটক মিজানুর রহমান বলেন, আমি লেম্বুর বনে ঘুরতে যাওয়ার পরে নামাজ পরতে মসজিদে গেলে পকেটে হাত দিয়ে টাকা না পেয়ে তাৎক্ষনিক মাইকিং করিয়ে না পেয়ে ভাবছি টাকা আর পাবো না। কিন্তু বিকেলে এক মাধ্যমে পুলিশ আমাকে খবর দিলে গিয়ে দেখি ফটোগ্রাফার টাকা নিয়ে দাড়িয়ে আছে। আমি ওই ফটোগ্রাফার এবং ও স্থানীয় মানুষের ব্যবহারে মুগ্ধ হয়েছি। এত সৎ মানুষ আমি কম দেখেছি।
কুয়াকাটা সৈকতের হাবিব নামের ওই ফটোগ্রাফার জাগো নিউজকে বলেন, আমি ছবি তুলতে ছিলাম তখন হঠাৎ একটি টিস্যু পেপারে মোড়ানো কিছু টাকা পেয়ে আমি কাউকে না দিয়ে সরাসরি আমাদের সভাপতির মাধ্যেমে ট্যুরিষ্ট পুলিশকে দেই। পরে টাকার আসল মালিককে পেয়ে তার হাতে ফেরত দেই। পরের টাকার প্রতি বিন্দুমাত্র লোভ কখনোই ছিল না আমার। যার টাকা তাকে দিতে পেরে আমি আনন্দিত।
সৈকতে দায়িত্বে থাকা ট্যুরিষ্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, ফটোগ্রাফারদের সভাপতির কাছে একজন কিছু কুড়িয়ে পাওয়া টাকা জমা দিয়ে টাকার মালিককে খুজতে আমাদের সহযোগীতা চাওয়া হলে আমরা মাইকিং করি এবং ভিবিন্ন মাধ্যেমে ছড়িয়ে দেই। পরে মিজানুর রহমান নামের এই পর্যটক আসে এবং টাকার সঠিক বর্ননা দেয়ার পওে তার টাকা তাকে ফেরত দেই।