বিজয়ের তিনদিন পর ১৯ ডিসেম্বর রামগঞ্জে মুক্ত দিবস। জানা গেছে, ১৯৭১ সালে ৪ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় পর্যুদস্ত পাক হানাদার বাহিনী রামগঞ্জ থানা ত্যাগ করে তৎকালীন লক্ষ্মীপুর মহকুমা শহর হয়ে নোয়াখালী জেলা মাইজদী শহর অভিমুখে চলে যায়।
এ দিন পাক হানাদারের দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলসামস বাহিনীদেরকে মুক্তিযোদ্ধারা শহরের চারদিক থেকে ঘিরে জিম্মি করে তাদের আস্তানায় আক্রমন চালায়।
মুক্তিযোদ্ধারা থানা এলাকায় প্রতিটি ইউনিয়ন ওয়ার্ডে জয় বাংলা শ্লোগান তোলে স্বাধীন বাংলাদেশে লাল সবুজ পতাকা উত্তোলন করে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে।
৪ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫দিন ব্যাপী মুক্তিযোদ্ধারা রামগঞ্জ শহরে জিম্মি হয়ে পড়া রাজাকারদের সাথে তুমুল যুদ্ধ করে। এ দিন হানাদারের দোসরা এক এক করে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করার ফলে রামগঞ্জ শহর মুক্ত হয়।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সালেহ আহম্মদ পাটওয়ারী জানান, ১৯৭১ সালে তৎকালীন থানা কমান্ডার সাখাওয়াত উল্যা ও সুবেদার তোফাজ্জল হোসেন নেতৃত্বে রামগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধারা ছিল তৎপর।
এক পর্যায়ে ১৬ ডিসেম্বর দেশ পাক হানাদার মুক্ত ঘোষণা হলেও রামগঞ্জ থানা শহর হানাদার দোসর রাজাকারা স্পর্শকাতর স্থানে অবরুদ্ধ ছিল। অবশেষে কৌশলে জন সম্পদের বড় ধরণের ক্ষতি রক্ষা করে ১৯ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে স্থানীয় রাজাকাররা এক এক করে আত্মসমর্úণ করতে বাধ্য হয়।
আত্মসমর্úণকৃত রাজাকারদের মধ্যে বেশ কয়েজনকে মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলার লামচরের কৈল্লার খামার ও কাতাল্ল্যা দিঘীর পাশে এনে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়।