লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের নোয়াপাড়া চৌকিদার বাড়ির দিনমজুর বাচ্চু মিয়ার ছেলে মোঃ হাসান নিখোঁজের একদিন পর পুকুরে মৃতদেহ ভেসে ওঠে। জানা যায়, রোববার সকাল ১১টায় হাসান পুকুরে গোসল করে দুপুরের ভাত খেয়ে আবার বাড়ির কয়েকজনকে সাথে নিয়ে খেলতে যায়। পরে খেলা শেষে আবার দুপুর ২টায় পুকুরে গোসল করতে আসে। এরপর থেকেই হাসান নিখোঁজ হয়ে যায়। গতকাল (১০ জুলাই) দুপুর আনুমানিক ১টার সময় হাসানের মৃতদেহ পানিতে ভেসে উঠতে দেখে পাশের বসবাসকারীরা চিৎকার দিয়ে উঠলে মুহুর্তেই উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় জমায়। খবর পেয়ে ইউপি দফাদার নিরঞ্জন চন্দ্র দাস, স্থানীয় ওয়ার্ড গ্রাম পুলিশ মমিন তাজ ও হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থালে আসেন। পরে খবর পেয়ে রামগঞ্জ থানার এস আই মজিবুর রহমান এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবং পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন। তবে মৃত্যুর ব্যাপারে কাউকে সন্দেহ না করায় পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করেন। নিহত হাসানের বাবা শারীরিক অসুস্থ থাকায় তার মা হালিমা বেগম জানান, গতকাল দুপুরে আমার ছেলে হাসান নিখোঁজ হয়। পরে আমরা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মাইকিং করি। সোমবার হাসানের মৃতদেহ পুকুরে ভেসে উঠে। ছেলের সাথে কারো শত্রুরা নেই এবং আমাদের সাথেও কারো কোনো শত্রুতাও নেই।তাই আমরা কাউকে দোষারোপ করতে পারছি না। স্থানীয় মেম্বার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল নিখোঁজের খবর পেয়ে আমরাও বিভিন্ন স্থানে হাসানের খোজাখুজি করি। মৃতদেহ ভেসে উঠার খবর শুনে দ্রুত ছুটে আসি। পরিবারের দাবি কেউ মারেনি এবং কারো সাথে শত্রুতা নেই বলে তারা জানান। পরে পুলিশ এসে তদন্ত করে পরিবারের সাথে কথা বলেন। দধইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু বলেন, আমি বিষয়টি জেনে তৎক্ষনাৎ রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করি। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
র্