চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসদর নামার বাজার এলাকায় অবস্থিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অপরিকল্পিত এই ব্রীজ।সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) অপরিকল্পিত ব্রীজে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,সড়ক ও জনপদের এই ব্রীজের কারণে বর্ষাকালে পানিবন্দি হয়ে পড়ে এলাকাবাসী।
এছাড়া সীতাকুণ্ড নামার বাজারের যানবাহন চলাচলেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এই ব্রীজের নিচের সড়ক দিয়ে সিএনজি,অটোরিকশা,ভ্যান ব্যাতিত ৭ ফুট উচ্চতার যানবাহন ও যেতে বাঁধার সম্মুখীন হয়।
এতে করে এই ব্রীজকে কেন্দ্র করে পৌরসভা ও দুই ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজারের অধিক বাসিন্দা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
অদূরদর্শী কম উচ্চতার এই অপরিকল্পিত ব্রীজের কারণে দীর্ঘ ১১ বছরে নানা সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছেন স্থানীয়রা।
সীতাকুণ্ডের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতের প্রধান সড়ক হওয়ার ফলে পর্যটকদের মিনি বাস নিয়ে প্রবেশ করতে বেকায়দায় পড়তে হয়।
সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের আহ্বায়ক সাংবাদিক ইউসুফ খান বলেন,সীতাকুণ্ড পৌরসভার মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ততম সড়ক নামার বাজারে।
এই সড়ক দিয়ে ছোট সাইজের এবং কম উচ্চতার গাড়ি সহসাই চলে। কিন্তু ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত এই কম উচ্চতার ব্রীজের কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যেতে পারেনা।
এতে করে সীতাকুণ্ডের প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ ভোগান্তির শিকার।
সড়ক ও জনপদের অপরিকল্পিত ব্রীজের কারণে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে চালক সহ সাধারণ পথচারী।বিশেষ করে বর্ষাকালে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয়রা।
এতে করে অর্থনৈতিকভাবে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই।
এলাকাবাসী জানান,এই কম উচ্চতার ব্রীজের কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি বিকল্প পথ দিয়ে আসতে অনেক সময় লেগে যায়।আমাদের এলাকায় কোন অগ্নিকাণ্ডে ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসার আগে বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এছাড়া অস্থায়ী যারা বসবাস করছেন বাসা পাল্টানোর ক্ষেত্রে তাদের ও এক প্রকার অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।বর্ষাকাল মৌসুমে আমরা অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করি।
এসময় সীতাকুণ্ড নামার বাজার ব্রীজের কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়ে এলাকাবাসী। স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি নানা শ্রেণি পেশার মানুষের দৈনন্দিন কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়ে।
ব্রীজের এই সমস্যার সমাধানে সরকারের সু দৃষ্টি কামনা করছি।এই বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ব্রীজটি সম্পর্কে অবগত নই, পরিদর্শন করব।পরিদর্শন করলে জানতে পারব।