লক্ষ্মীপুরে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ডাঃ রুবিনা ইয়াসমিনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে লক্ষ্মীপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে পুলিশ ঘটনা¯’লে তদন্তে যান। তবে, ওই চিকিৎসক বলছেন- রোগী সেজে তাকে মারতে আসেন ওই নারী। এজন্য অন্য স্টাফদের ডেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসক রুবিনা ইয়াসমিন লক্ষ্মীপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ও অন্যরা ওই হাসপাতালের কর্মচারী। ভুক্তভোগী পপি বেগম সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের হেতিমপুর গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে। অভিযোগ সুত্রে ও ভুক্তভোগী নারী জানায়, ভুক্তভোগী ওই নারীর এক সন্তান রয়েছে। দীর্ঘ দিন পর ২য় সন্তান গর্ভে আসে। ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী সকালে লক্ষ্মীপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে গর্ভবতী টিকা দিতে যান। এজন্য টিকার কার্ড নিয়ে ডা: রুবিনা ইয়াসমিনের কক্ষে গেলে সেখানে বয়সের সংখ্যা ভুল বলে জানান চিকিৎসক। এসময় ওই নারীর গর্ভের সন্তানকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চিকিৎসকের উপর চড়াও হন অন্তঃসত্ত্বা পপি। পরে হাসপাতালের নার্স ও এক স্টাফ তাকে মারধর করে বের করে দেন বলে অভিযোগ করেন ওই নারী। জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা: রুবিনা ইয়াসমিন বলেন, টিকা কার্ডে ওই নারীর বয়স ভুল ছিল। বয়স সঠিক যাচাইয়ের জন্য তাকে কিছু প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে আমাকে মারতে আসলে হাসপাতালের স্টাফরা তাকে বের করে দেন। লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলায়েত হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। দুই পক্ষকে থানায় আসার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।