লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নারী স্টাফকে যৌন হয়রানির অভিযোগে চিকিৎসক আসাদুজ্জামান ও হাসপাতাল মালিক মিজানুর রহমান মুন্সিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালতে। বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সিরাজুদ্দৌলাহ কুতুবী তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান রায়পুরের নিরাময় হাসপাতালের চিকিৎসক ও মিজানুর রহমান একই হাসপাতালের মালিক।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন মৃধ্যা বলেন, আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় মর্মে আদালতে জামিন আবেদন করেন। এতে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন। বাদী ঘটনার ভিডিও আদালতে জমা দেন। ভিডিও দেখে আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করেছেন।
মামল এজাহার সূত্র জানায়, চলতি বছর ২৪ মে নিরাময় হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মিজানুর রহমান তার তরুণী স্টাফকে (২১) যৌন হয়রানি করে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে এশিয়ান টিভি লক্ষ্মীপুর উত্তরের প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম টিটু ঘটনাটির ভিডিও সংগ্রহ করেন। ভিকটিম নিজেও ঘটনার শিকার করেন। চিকিৎসক আসাদুজ্জামান ঘটনাটি জেনেও তিনি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এশিয়ান টিভিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রায়পুর আদালতের বিচারক তারেক আজিজের দৃষ্টিগোচর হয়। এতে ২৯ মে বিচারক তারেক আজিজ এ ঘটনায় মামলা রুজু করার জন্য রায়পুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে ৯ জুন সাংবাদিক টিটু বাদী হয়ে চিকিৎসক আসাদুজ্জামান ও হাসপাতাল মালিক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।