অদ্ভুত এক বোলিং ইনিংস কাটালেন ফরচুন বরিশালের ডানহাতি পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। তার চার ওভারের স্পেলের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান আনিসুল ইসলাম ইমন আর শেষ বলও একই ঠিকানায় পাঠান ফজলে মাহমুদ রাব্বি। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৪৯ রান খরচ করেন কামরুল রাব্বি। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে নিঃসন্দেহে খরুচে বোলিং এটি।অথচ এই বোলিংই হয়ে রইল রাব্বির ক্যারিয়ারের অন্যতম মাইলফলক। বাংলাদেশের মাত্র তৃতীয় বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়লেন তিনি। যা হয়তো ম্যাচ চলাকালীন টের পাননি রাব্বি নিজেও। প্রথম দুই ওভারে ৩টি করে চার ও ছক্কায় মোট ৩৪ রান খরচ করলেও তৃতীয় ওভারে দেন মাত্র ৫ রান। আর শেষ ওভারে নেন পাঁচ বলে ৪টি উইকেট।
রাজশাহীর উত্তাল ব্যাটিংয়ের সামনে ইনিংসের শেষ ওভারটি কামরুল রাব্বির হাতেই তুলে দেন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সে ওভারের প্রথম বলেই লংঅফে ক্যাচ তুলে দেন নুরুল হাসান সোহান। পরের বলটি ছিল অফস্ট্যাম্পের বাইরে, চালিয়ে খেলতে গিয়ে কভারে দাঁড়ানো তামিমের হাতেই ধরা পড়েন সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল শান্ত (৫৪ বলে ১০৯)। হ্যাটট্রিক বলে দাঁড়িয়ে ফিল্ডিংয়ে কোনো পরিবর্তন আনেননি রাব্বি।তার তৃতীয় বলে আবারও লং অফে ক্যাচ নেন সাইফ হাসান, এবার ব্যাটসম্যান ছিলেন ফরহাদ রেজা। জায়ান্ট স্ক্রিনে রাব্বির হ্যাটট্রিকের কথা লেখা হলেও, রাব্বিসহ বরিশালের ফিল্ডারদের শরীরী ভাষায় বোঝাই যাচ্ছিল না আদৌ তারা এটি বুঝতে পেরেছেন কি না। ওভারের চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হাঁকান সাইফউদ্দিন। কিন্তু পরের বলে সাইফ হাসানের হাতে ধরা পড়েন সাইফউদ্দিন, ওভারে ৪ উইকেট পূরণ হয় রাব্বির।
বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার এবং সবমিলিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে চতুর্থ হ্যাটট্রিকটি করলেন রাব্বি। তার আগে দেশি বোলারদের মধ্যে হ্যাটট্রিক করেছেন আলআমিন হোসেন (দুইটি) ও আলিস আল ইসলাম।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশি বোলারদের হ্যাটট্রিক তালিকা
১/ আলআমিন হোসেন (বিসিবি একাদশ) – প্রতিপক্ষ আবাহনী লিমিটেড (২০১৩)
২/ আলআমিন হোসেন (বরিশাল বুলস) – প্রতিপক্ষ সিলেট সুপারস্টারস (২০১৫)
৩/ আলিস আল ইসলাম (ঢাকা ডায়নামাইটস) – প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স (২০১৯)
৪/ কামরুল ইসলাম রাব্বি (ফরচুন বরিশাল) – প্রতিপক্ষ মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী (২০২০)