বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের হেফজখানায় শিশু হত্যার ঘটনায় মামলার পর সেখানকার বাবুর্চি সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) ও আবাসিক তত্ত্বাবধায়ক হাফেজ ফারুক হোসেনকে (৬০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।রোববার (৬ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়। নিহত শিশুর মা তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।নিহত শিশু হাসিবুল ইসলামের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে রোববার রাত ৯টায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পাঁচ বছর ধরে ওই হেফজখানায় নজরানা বিভাগের ছাত্র হিসেবে অধ্যয়নরত হাসিবুলকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই, ডিবি, সিআইডি ও র্যাবের পৃথক দল হত্যার কারণ ও অপরাধীদের শনাক্তে মাঠে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়।এর আগে শনিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতের কোনো এক সময় শিশু হাসিবুলকে হত্যা করা হয়। রোববার (৬ ডিসেম্বর) ফজরের নামাজের পর মাদরাসা প্রাঙ্গণের এক কোনায় তার লাশ দেখা গেলে পুলিশে খবর দেয়া হয়।