রোববার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতেছে ভারত, একইসঙ্গে নিশ্চিত করেছে সিরিজের শিরোপা। তাদের জয়টি খুব সহজ ছিল না। আগে ব্যাট করে ১৯৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯.৪ ওভারে এ রান তাড়া করে বিরাট কোহলির দল।একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল ম্যাচটি জিতে সিরিজে সমতা ফেরাবে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু তাদের আশায় গুড়েবালি দেন ভারতের মারকুটে অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। রয়েসয়ে ব্যাটিং শুরু করে পরে ধারণ করেন রুদ্রমূর্তি, মাত্র ২২ বলে ৪২ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে একা হাতেই দলকে এনে দেন অসাধারণ এক জয়।
স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন পান্ডিয়া। একইসঙ্গে পাচ্ছেন একের পর এক প্রশংসাবাক্য। স্বদেশি সাবেক অফস্পিনার হরভজন সিং তো তাকে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ফিনিশার ও মারকুটে ব্যাটসম্যান আন্দ্রে রাসেলের চেয়েও এগিয়ে রাখছেন। হরভজনের মতে, কখনও কখনও রাসেলের চেয়েও ভাল পান্ডিয়া।ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেশটির সাবেক অফস্পিনার বলেছেন, ‘তার আত্মবিশ্বাস প্রতিদিনই বাড়ছে। পান্ডিয়া ভারতের জন্য একজন আদর্শ ফিনিশার। সে রাসেলের মতোই ভালো। আমার মতে রাসেলের চেয়েও এগিয়ে আছে। সে নিজের ইচ্ছামতো ছক্কা মেরে যাচ্ছে।’হরভজন আরও যোগ করেন, ‘পান্ডিয়ার মধ্যে সবসময়ই প্রতিভাটা ছিল। আমরা জানতাম যে সে বড় বড় ছক্কা মারতে পারে। তবে এখন সে ধারাবাহিকভাবে ভালো করে যাচ্ছে। সে উইকেটে থাকার পরিকল্পনা করছে এবং ম্যাচ শেষ করেই ফিরছে।’
শুধু মারমুখী ব্যাটিং নয়, পান্ডিয়ার দায়িত্বশীলতাও মুগ্ধ করে হরভজনকে। তার ভাষ্য, ‘আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি টেকনিকটাও ভাল পান্ডিয়ার। সে এমন একজন ব্যাটসম্যান, যে সিঙ্গেলও নিতে পারে। শুধু এমন না যে, টানা ছক্কাই মেরে যায়। খুবই পরিণত একজন ব্যাটসম্যান সে। দেখে ভাল লাগছে যে, সে এখন দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসছে।’হরভজনের শেষ কথা, ‘পান্ডিয়া খুবই আক্রমণাত্মক খেলোয়াড়। একইসঙ্গে দায়িত্বশীলও। সে জানে কোন বোলারকে টার্গেট করে মারা উচিত। এমন পরিণতবোধ দেখাচ্ছে সে, এটা দেখা খুবই স্বস্তিদায়ক। যেকোনো ব্যাটসম্যানের মতোই ব্যাটিং করছে সে। এর সঙ্গে যদি কিছু ওভার বোলিং করতে পারে, তাহলে হবে সোনায় সোহাগা।’