নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে একের পর এক অবিবেচকের মতো কাজ করে গেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। প্রথম দফায় ছয়জন করোনা পজিটিভ হওয়ার পরেও সতর্ক হয়নি বাকিরা, খুব একটা পাত্তা দেয়নি বায়ো সিকিউর বাবলের বিধিনিষেধকে। যার ফলে আরও ৪ জনের শরীরে পাওয়া যায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি।পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, মাঠে নামার আগেই হয়তো দেশে ফিরতে হতো পুরো দলকে। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা হয়নি। অবশেষে ভালো খবর পেয়েছে পাকিস্তান। করোনামুক্ত থাকা ৪৪ জনের সবাই রোববার করা পঞ্চম এবং শেষ রাউন্ডের পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়েছেন। যার ফলে এখন আর মাঠের অনুশীলনে নামতে কোনো বাঁধা রইল না তাদের।তবে এর আগে নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে পাকিস্তানকে। এটি পেয়ে গেলে মঙ্গলবার ক্রাইস্টচার্চের আইসোলেশন সেন্টার থেকে বেরিয়ে কুইন্সটাউনে অনুশীলন শুরু করবে তারা। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে অন্তত সপ্তাহখানেক সময় অনুশীলনের জন্য পাচ্ছে তারা।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের পাশাপাশি পাকিস্তান ‘এ’ দল নিউজিল্যান্ডের ‘এ’ দলের বিপক্ষে দুইটি চারদিনের ম্যাচ খেলবে। যেগুলো মূলত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই ম্যাচ সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবেই গণ্য হচ্ছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) থেকে কুইন্সটাউনে শুরু হবে প্রথম ম্যাচ। পরে ১৭ তারিখ ওয়াঙারাইতে হবে দ্বিতীয় ম্যাচটি।তবে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ‘এ’ দলের খেলোয়াড়দের কোনো সংস্পর্শ হবে না। কুইন্সটাউনে ভিন্ন ভিন্ন হোটেলে থেকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অনুশীলন করবে পাকিস্তানের দল দুইটি। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে দেয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এসব তথ্য।সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে গত শনিবার (৫ ডিসেম্বর) থেকেই অনুশীলন শুরু করতে পারত পাকিস্তান দল। কিন্তু একের পর করোনা আক্রান্তের কারণেই অন্তত তিনদিন পেছাল তাদের অনুশীলন। তবু মাঠের খেলা শুরু হতে এখনও সময় থাকায় অনুশীলনের যথাযথ সুযোগটা পাচ্ছে তারা।