করোনাকালীন সময়ে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে সফলভাবে টেস্ট সিরিজ খেলে দেশে ফিরেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। আবার নিজেদের দেশে স্বাগত জানিয়েছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলক। কিন্তু নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েই যেন সব তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে তারা। সফরের দলে থাকা দশজনের মধ্যে পাওয়া গেছে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি।ফলে তাদের ওপর সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (এনজেসি)। কিন্তু এটি করতে গিয়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি মাথায় রাখতে পারেনি স্বাগতিক ক্রিকেট বোর্ড- এমনটাই অভিযোগ এনেছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। তাদের মতে, হোটেলে মোটেও ফাইভ স্টার মানে সুবিধাদি দেয়া হয়নি।
পাকিস্তানের জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘ক্রিকেট পাকিস্তান’ প্রকাশ করেছে এই খবর। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিউই সফরে গিয়ে আরও ভাল আপ্যায়নের আশা করেছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। বিশেষ করে করোনা আক্রান্তদের জন্য ব্যবস্থা আরও ভালো হবে, এমনটাই ছিল তাদের প্রত্যাশা।কিন্তু পেয়েছে এর উল্টোটাই! ক্রিকেট পাকিস্তানের প্রকাশিত খবর মোতাবেক, দলের অভ্যন্তরের সূত্র জানিয়েছে সাধারণত বিদেশ সফরে গেলে যে বা যারা খেলোয়াড়দের সুবিধাদির বিষয়টি দেখে থাকেন, তারা নিজেরাই এবার ১১ দিনের জন্য বন্দী ছিলেন আইসোলেশনে। ফলে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে ক্রিকেটারদের।
বাবর আজম, শাদাব খানদের অভিযোগ, আইসোলেশনের ১১ দিন একই বেডশিট ছিল তাদের হোটেল রুমে। যা কি না সাধারণত প্রতিদিনই বদল করা হয়। এছাড়া যেসব রুমের সঙ্গে এটাচড ওয়াশরুম রয়েছে, সেগুলো ১১ দিনে একবারও পরিষ্কার করা হয়নি। যা অস্বস্তি বাড়িয়েছে বহুগুণে।খেলোয়াড়রা গোসল বা অন্যান্য ব্যবহার শেষে তোয়ালেগুলো তাদের রুমের বাইরে রাখত এবং হোটেল স্টাফরা সেখান থেকে সেগুলো তুলে নতুন তোয়ালে দিয়ে যেত। খাওয়ার সময় প্লেটের বদলে ডিসপোজেবল (ব্যবহারের পর যা ফেলে দিতে হয়) বক্সে দেয়া হতো। সবমিলিয়ে বেশ অস্বস্তির মধ্যেই কেটেছে তাদের আইসোলেশন।
এ বিষয়ে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকেও জানিয়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। তবে এনজেসি জানিয়েছে, এক্ষেত্রে তাদের কিছুই করার নেই। কেননা করোনা প্রটোকলের জন্য সরকারের সকল বিধিনিষেধ মানতে হচ্ছে তাদের। তবু এ সফরটি চালিয়ে নেয়ার জন্য হেড কোচ মিসবাহ উল হক এবং অধিনায়ক বাবর আজমের কাছে অনুরোধ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।এদিকে শুরুর ঝামেলা কাটিয়ে সুখবর পেয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। করোনামুক্ত থাকা ৪৪ জনের সবাই রোববার করা পঞ্চম এবং শেষ রাউন্ডের পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়েছেন। যার ফলে এখন আর মাঠের অনুশীলনে নামতে কোনো বাঁধা রইল না তাদের।তবে এর আগে নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে পাকিস্তানকে। এটি পেয়ে গেলে মঙ্গলবার ক্রাইস্টচার্চের আইসোলেশন সেন্টার থেকে বেরিয়ে কুইন্সটাউনে অনুশীলন শুরু করবে তারা। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে অন্তত সপ্তাহখানেক সময় অনুশীলনের জন্য পাচ্ছে তারা।