গতবছরের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশের একটি ম্যাচ খেলে হুট করেই সবধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অফস্পিনার জোহান বোথা। এবার দুই বছরের মধ্যে অবসর ভেঙে মাঠে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেন ৩৮ বছর বয়সী এ স্পিনার।দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সবশেষ ২০১২ সালের অক্টোবরে খেলেছেন বোথা। এরপর থেকে তিনি নিয়মিত খেলেছেন ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোতে। বিশেষ করে বিগ ব্যাশের নিয়মিত মুখ ছিলেন তিনি। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি হোবার্ট হারিকেনের হয়ে সিডনি সিক্সার্সের বিপক্ষে ম্যাচের পর অবসর নিয়ে নেন বোথা।নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত দুই বছরের মধ্যেই পর্যালোচনা করতে বাধ্য হলেন বোথা। বিগ ব্যাশের আসন্ন মৌসুমে ফের হোবার্টের হয়েই খেলবেন তিনি। দলের নেপালি লেগস্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বিকল্প খুঁজতে শুরু করে হোবার্ট, পেয়ে যায় হাতের কাছেই। এর আগে নিজের সবশেষ মৌসুমটি হোবার্টের হয়েই খেলেছেন প্রোটিয়া অফস্পিনার।
বিগ ব্যাশ ক্যারিয়ারের শুরুটা অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্সের হয়ে করেছিলেন বোথা। যেখানে তিনি ছিলেন ২০১২ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত। এরপর ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সময়ে তাকে দেখা গেছে সিডনি সিক্সার্সের জার্সি গায়ে। এ সময়েই ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্বও পেয়ে যান তিনি।পরে হোবার্টের হয়ে খেলা ছেড়ে কোচের দায়িত্ব নেন বোথা। বর্তমানে তিনি তাসমানিয়ার কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি পাকিস্তান সুপার লিগের দল করাচি কিংসেরও এসিস্ট্যান্ট কোচ হিসেবে রয়েছেন তিনি। ফলে অবসর ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে কোচিং অথবা খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার- দুইটির একটি বেছে নিতে হয়েছে বোথাকে।এ সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে বোথা বলেছেন, ‘আমার জন্য বিষয়টা এমন ছিল যে, কোচিং ক্যারিয়ার এখনই এগিয়ে নেবো? নাকি পাকিস্তান সুপার লিগের কিছু ম্যাচ আমি মিস করেছি? আমার মনে হয়েছে যে, এখনও খেলার জন্য ফিট আছি এবং দলের জন্য অবদান রাখতে পারব। তাই ভাবলাম আবার খেলোয়াড় হওয়া যাক।’
নিউজ ১৮কে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্যই আমি মাঠের ক্রিকেট মিস করেছি। তবে আমি কখনও এমনটা চাইনি যে, কারও কাছে গিয়ে বলতে হোক আমাকে দলে নেবে? তাই আমি চুপচাপ ছিলাম এবং আগে সবার সঙ্গে কথা বলে নিয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে মাঠে ফেরার প্রস্তুতি সেরেছি।’দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের ৫ টেস্ট, ৭৮ ওয়ানডে ও ৪০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন বোথা। যেখানে তার সর্বোচ্চ শিকার ১১৪টি উইকেট। এছাড়া সবমিলিয়ে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ১৬৩ উইকেটের পাশাপাশি ১৯৮৯ রানও রয়েছে তার নামের পাশে।