লিবিয়া থেকে গত এক সপ্তাহ ধরে দেড় শতাধিক বাংলাদেশি অভিবাসী স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে এসেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন মিজদাহ শহরে আক্রমণ থেকে জীবিত বেঁচে ফেরা নয়জন বাংলাদেশিও। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) বরাত দিয়ে শনিবার এ খবর জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।
খবরে উল্লেখ করা হয়, গত মে মাসে লিবিয়ার মিজদাহ শহরে পাচারকারীদের গুলিতে ৩০ জন নিহত হন যাদের মধ্যে ২৬ জন ছিলেন বাংলাদেশি। ওই হামলায় আহত হন আরও ১১ জন বাংলাদেশি অভিবাসী।
গত বুধবার বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটে ১৬৪ জন বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফিরিয়ে আনা হয়। এদের মধ্যে ১০০ জন বিপন্ন অভিবাসী ছিলেন। মিজদাহ’র আক্রমণের শিকার বাংলাদেশি অভিবাসী মোহাম্মদ সৈয়দ খান বলেন, ‘আমি এ ঘটনা কিছুতেই ভুলতে পারছি না। এটা দুঃস্বপ্নের মতো। আমার শরীরে গুলি লাগে। চার মাস পর আমি দেশে ফেরার মতো সুস্থ হই। এখনো অনেকেই পুরোপুরি সুস্থ হইনি। আমরা এখনো আতঙ্কিত।’
আইওএমের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দেশে ফেরার পর এই অভিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা, কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এবং ফলোআপের ব্যবস্থা করেছে সংস্থাটি। দেশে ফেরত আসা অভিবাসীদের দেশে প্রতিষ্ঠিত হতে আইওএম বিশেষ আর্থিক সহযোগিতা প্যাকেজও দিচ্ছে। আইওএম বাংলাদেশ মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, ‘কোভিড-১৯ সমগ্র বিশ্বের অভিবাসী কর্মীদের বিপদকে বাড়িয়ে দিয়েছে।’