শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর প্রবল স্রোতে নদীর তলদেশ থেকে জিওব্যাগ ও সিসি ব্লক সরে যাওয়ার কারনে সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিরক্ষা বাধে ফের ১ শত মিটার ভাংগন দেখা দিয়েছে। অনেকেই বাড়ী ঘর ছেড়ে আত্নীয় স্বজনদের বাড়ীতে আশ্রায় নিয়েছে। সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিরক্ষা বাধে ও আশে পাশের লোকজন ভাংগনের ভয়ে চরম আতংকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেদার পুরের সাবেক চেয়াম্যান স্থানীয় ঈমাম হোসেন দেওয়ান। সরেজমিন ঘুরে ও শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড এর ফরিদপুর বিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল হেকিম জানান, সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিরক্ষা বাধে সুরেশ্বর দরবার শরীফ পয়েন্টে শুক্রবার ও শনিবার প্রায় ১ শত মিটার বাধঁ ধসে গেছে বলে জানান তিনি। ইতোপূর্বে আরো ঐতিহাসিক সুরেশ্বর দরবার শরীফ রক্ষাবাধের প্রায় ৬৫ মিটার পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। গত এক সাম ধওে পানি উন্নয়ন বোর্ডেও কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে জিও ব্যাগ ও ও সিসিব্লক ফেলে বাধ মেরামতের জন্য কাজ করলেও কোন কাজে আসছে না। শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড নিবাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানান, ইতোপূর্বে সুরেশ্বর দরবার শরীফ রক্ষাবাঁধের প্রায় ৬৩মিটার বাধসহ প্রায় ৮০ মিটার পদ্মানদীতে বিলীনহয়ে গেছে। পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাংগন রোধে তিনটি স্থানে ১লাখ ২০ হাজার জিওব্যাগ ও ১হাজার ৭শত ৩৫টি সিসিব্লক ডাম্পিং করা হয়। ২০০৭ ও ২০১২ সালে সুরেশ্বর দরবার শরীফ ও আশে পাশে ভাংগন দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভাংগন রোধে সুরেশ্বর দরবার শরীফ ও আশে পাশে ৮৫০ মিটার স্থায়ী রক্ষাবাধ নির্মাণ করা হয়। চলতি বর্ষা মৌসুমে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ঐ বাঁধে ভাংগন দেখা দেয়।