গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার আকুলীচালা এলাকায় দুটি মৎস্য খামারে একটি ইটসলিং সড়ক বিলীন প্রায়। কয়েকটি বসত-ঘরও ভেঙ্গে যাওয়ার পথে। একমাত্র সড়কটি বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও রোগীসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। এ দুর্ভোগ থেকে বাচঁতে এবং একমাত্র সড়ক রক্ষায় বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের আকুলিচালা এলাকার ঠাকুরপাড়া-আকুলীচালা-জালুয়াভিটি আঞ্চলিক সড়ক মৎস্য খামারে বিলীন প্রায়। দীর্ঘদিনের পুরানো এই সড়কটি প্রথমে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ৬০০ ফুট ও পরে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৪০০ ফুট ইটসলিং করা হয়। কিন্তু স্থানীয় জহিরুল ইসলাম ও আরমান আলীসহ কয়েকজন প্রভাবশালী মিলে জমি লীজ নিয়ে দুপাশে দুটি মৎস্য খামার করে আসছেন। গত ৪/৫ বছর ধরে কোনো রকম সড়ক সুরক্ষা ছাড়াই মৎস্য খামার পরিচালনা করায় ইটসলিং সড়কটি প্রায় বিলীনের পথে। ১৬ ফুট প্রশস্থের সড়কটি কোথাও কোথাও ৮-১০ ফুট সড়ক দুটি মৎস্য খামারে ধসে গেছে। সড়কে ইটগুলো মৎস্য খামারের পানির নিচে রয়েছে। আকুলীচালা ও জালুয়াভিটি দুই গ্রামের একমাত্র সড়কটি বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও রোগীসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। এছাড়াও স্থানীয় মানিক সিকদার ও জহিরুল মিয়ার দুটিসহ কয়েকটি বসত-ঘরও মৎস্য খামারে ভেঙ্গে যাওয়ার পথে। এতে বসত-ঘরের মালিকরাও বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে যাওয়ার আতঙ্কে রয়েছে। এসব দুর্ভোগ থেকে বাচঁতে এবং একমাত্র সড়ক রক্ষায় বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। এছাড়াও সড়ক রক্ষায় স্থানীয় লোকজন গণস্বাক্ষর নিয়ে প্রথমে মধ্যপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি ইউনিয়ন পরিষদ। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমীন জানান, ওই সড়কের বিষয়ে একটি আবেদন পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।