লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি শরাফ উদ্দিন আজাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, অসদাচরন, ক্ষমতার অপব্যবহার, অনৈতিক কর্মকান্ড সহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
২১ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়। জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও নাগরিক সমাজের ব্যনারে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাহিদ হোসেন। এতে উপস্থিত ছিলেন রামগতি পৌরসভার মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ এবং চর আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন লিটন চৌধুরী প্রমুখ। এর আগে বুধবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমন্বয় সভা জনপ্রতিনিধিরা বয়কট করে। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জাতীয় প্রোগ্রামগুলোতে চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ কৌশলে অংশগ্রহণ করে না। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের রাজস্বখাতের ২১ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎসহ ও ভিজিএফ, ভিজিডি, গৃহহীনদের ঘরসহ বিভিন্ন বরাদ্ধের কোটা দাবি করার অভিযোগ আনেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে জাপান-আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) ৫০ লাখ টাকা বন্টনে খামখেয়ালিপনার অভিযোগ আনা হয়েছে। আজাদ চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে বেপরোয়া কান্ড করে বেড়াচ্ছে। তিনি উপজেলা সরকারি ১৫টি গাছ কর্তন করে বিক্রি, পরিষদ এলাকার পুকুরের বালু উত্তোলন করে প্রকল্পের বরাদ্দ আত্মসাৎ করেছে।
ইউএনও বালু উত্তোলন বন্ধ করতে বললেও তিনি কর্ণপাত করেননি। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে শরাফ উদ্দিন আজাদ বলেন, চেয়ারম্যানরা আমার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ এনেছেন। এখনো জাইকার বরাদ্দ বন্টন হয়নি। এ ব্যাপারে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল মোমিন জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি তুলেছেন। তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।