পুরোনো দ্বন্দ্বের জেরে বন্ধু গার্মেন্ট শ্রমিক শরীফকে খুন করেছিল দুই বন্ধু। আর খুনের ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে লুট করে নিয়েছিল ঘরে থাকা এলইডি টিভি, মোবাইল ফোন ও ঘড়ি। পিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তারের পর আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা জানিয়েছেন শরীফের ঘাতক দুই বন্ধু তৌহিদুল ইসলাম রাজু ওরফে বাবু (২৩) ও মুমিনুল ইসলাম ওরফে মমিন (২৭)।বাবু বরগুনার বামনা থানার ভোলাহাট গ্রামের দেলোয়ার হোসেন এবং মেমিন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার ফকিরপাড়া (উত্তরপাড়া) গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। তারা দুইজনই আশেকুল হক ওরফে শরীফের (৩০) বন্ধু ছিলেন।
গাজীপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, গত ২১ জুলাই রাতে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার সারদাগঞ্জ ভাড়া বাসা থেকে মুখ বাধা অবস্থায় গার্মেন্ট শ্রমিক শরীফের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি জামালপুরের সরিষাবাড়ী থানার সাতপোয়া গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে।
এ ঘটনায় মামলা হলে ২৩ জুলাই মামরার তদন্তের দায়িত্ব গাজীপুর পিবিআইকে দেওয়া হয়। দুইদিন পর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের কানপুর থেকে বাবু ও মমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার তারা আদালতে শরীফকে খুনে কথা স্বীকার করে জানায়, মোবাইলে ধারনকারা একটি ভিডিও নিয়ে তিন বন্ধুর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। তাই জের ধরে বাবু ও মমিন বন্ধু শরীফ খুনের পরিকল্পনা করেন এবং খালি বাসায় মুখে কাপড় বেধে শ্বাসরোধ করে শরীফকে খুন করেন। নিজেরা বাঁচার জন্য ঘটনাটি ডাকাতি ডাকাতি প্রমানের জন্য ঘরে থাকা মামলামাল লুট করে নিয়ে মমিনুলের বাড়িয়ে গিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন।