পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের খুলনা রেঞ্জের বনজসম্পদ রক্ষায় নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা (রেড এলার্ট)। ইতিমধ্যে বন বিভাগ থেকে বিভিন্ন স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি সুন্দরবনে পাশ পারমিট বন্ধ আছে। ইতিমধ্যে বন বিভাগ বিশেষ অভিযান চালিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ ও কাঁকড়া ধরার অপরাধে জাল, নৌকা, ইঞ্জিন চালিত ট্রলারসহ অনেক জেলে আটক করেছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনের হরিণ শিকার, অবৈধভাবে গাছ কাটা এবং বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধে গত ২৭ জুলাই সোমবার বেলা ১১ টায় খুলনা রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ে (নলিয়ানে) এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিশেষ টিম গঠন করে টহল জোরদারসহ প্রত্যেক স্টেশন কর্মকর্তার সমন্বয়ে টহল কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। খুলনা রেঞ্জের এসিএফ মোঃ আবু সালেহের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বানিয়াখালি স্টেশন কর্মকর্তা মাহফুজুল হক, কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাহারাম, কালাবগি স্টেশন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, নলিয়ান স্টেশন কর্মকর্তা শেখ মোঃ আনিছুর রহমান, রেঞ্জ সহযোগী শাহানশাহ নওশাদ, সুতারখালি স্টেশন কর্মকর্তা প্রেমানন্দ, নিলকোমল বিশেষ টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন টহল ফাঁড়িতে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। সভায় জানানো হয় ঈদকে সামনে রেখে সুন্দরবনের এক শ্রেণির চোরাকারবারিরা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সুন্দরবনের কাঠ পাচার করে আর্থিক ফায়দা লুটে থাকে। এ ছাড়া এক শ্রেণির অসাধু শিকারি চক্র মায়াবি হরিণ নিধনযজ্ঞে মেতে ওঠে। এ বছর এ সুযোগ যাতে কাজে না লাগাতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে বন বিভাগ থেকে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়।
খুলনা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোঃ আবু সালেহ বলেন, চলতি মাসে সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্মার্ট টিম ৭টি নৌকা, ৩ টি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার, জাল সহ ১৫ জন জেলেকে আটক করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্টেশন ও টহল ফাঁড়ি অভিযান চালিয়ে এ মাসে ৩৭ টি নৌকা, একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার, জাল সরঞ্জাম সহ ৩৩ জন জেলেকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। এ সকল বিষয়ে বন আইনে মামলা হয়েছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের (ডিএফও) মোঃ বশিরুল-আল মামুন বলেন, ঈদকে সামনে রেখে সুন্দরবনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে সুন্দরবনে স্মার্ট টিম সহ বিভিন্ন স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি নিজেও ঈদের সময় টহল কার্যক্রম চালাবেন বলে জানিয়েছে।