প্রবাসীদের পক্ষে মালয়েশিয়ান সরকারের ‘অবিচারের’ কথা তুলে ধরতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন বাংলাদেশি মো. রায়হান কবির। তাকে কালো তালিকাভুক্ত দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে দেশটির সরকার।
রায়হান কবিরের প্রতি মালয়েশিয়ার এমন আচরণে নিন্দা জানিয়েছে আল-জাজিরাসহ দেশ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন। ২১টি সংগঠন দ্রুততম সময়ে রায়হানের মুক্তির দাবি করেছে। ২৫ জুলাই শনিবার অভিবাসন নিয়ে কাজ করা এমন ১২ সংগঠন তার মুক্তির দাবি করেছেন।
অভিবাসীদের প্রতি মালয়েশিয়ান সরকারের ‘অবিচারের’ কথা তুলে ধরা বাংলাদেশের সেই রায়হান কবিরকে গ্রেপ্তার করায় দেশটির প্রশাসনের সমালোচনা করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। এই সংবাদমাধ্যমের একটি প্রামাণ্যচিত্রে নিজের মতামত তুলে ধরেই ফেঁসে যান নারায়ণগঞ্জের ছেলে রায়হান।
আল-জাজিরার পাশাপাশি বাংলাদেশের ২১টি সংগঠন দ্রুততম সময়ে রায়হানের মুক্তির দাবি করেন। ২৫ জুলাই শনিবার যৌথভাবে বিবৃতি দেওয়া এই সংগঠনগুলো অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করে থাকে।
রায়হান কবিরকে গ্রেফতারের পর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা নিজেদের টুইটারে লিখেছে, ‘বাংলাদেশি অভিবাসী রায়হান কবিরের গ্রেফতারের ঘটনা গোলমেলে ব্যাপার।’
তারা বলছে, ‘তিনি প্রামাণ্যচিত্রে কথা বলার জন্য অনলাইনে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। তাকে উদ্দেশ্য করে বিদ্বেষমূলক কথা ছড়ানো হয়েছে। কথা বলার দায়ে এভাবে অপরাধী বানানোকে কখনোই আমরা সমর্থন করি না। ’
গত ৩ জুলাই আল-জাজিরার ইংরেজি অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ‘লকডআপ ইন মালয়েশিয়ান লকডাউন-১০১ ইস্ট’ শীর্ষক একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদনে মালয়েশিয়ায় থাকা প্রবাসী শ্রমিকদের প্রতি লকডাউন চলাকালে দেশটির সরকারের নিপীড়নমূলক আচরণ উঠে আসে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, রায়হান এই নিপীড়নের প্রতিবাদ করেছেন। আল-জাজিরার প্রতিবেদন দেখে রায়হানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গ্রেফতার এড়াতে এতদিন পালিয়ে ছিলেন তিনি।
টানা দুই সপ্তাহের গোয়েন্দা তৎপরতার পর শুক্রবার রায়হান কবিরকে গ্রেফতার করা হয়। রায়হান যাতে আর কখনো মালয়েশিয়ায় যেতে না পারেন, সেজন্য তাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক খায়রুল দায়াইমি দাউদ।