নরসিংদীতে একটি হত্যা মামলায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী এড. নূরুল মজিদ মাহামুদ হুমায়নকে কারাগারে প্রেরন করেছে আদালত। বুধবার দুপুরে সাবেক এই মন্ত্রী’র রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করে আদালতে প্রেরন নির্দেশ দেয়া হয়। আদালত সূত্রে জানাযায়, কোটা ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে চলাকালে ৪ আগষ্ট মহিষাশুরা ইউনিয়েনের ৭ নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি নিহত জাহাঙ্গীর সহ নেতাকর্মীরা মাধবদী এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেয় । ওই সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও শিল্প মন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চ মহলের ইসারায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ার হোসেনের নির্দেশে আন্দোলন কারীদের উপর এলাপাথারী গুলি চালায়। ওই সময় নিহত জাহাঙ্গীর মাথার ডান পাশে গুলি বিদ্ধ হয়। একই সময় সুমন নামে আরো ১ জনের বুকে ও পেটে গুলি বিদ্ধ হয়ে একাধিক নেতাকর্মীর গুরুত্বর আহত হয়। জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধিন অবস্থায় রাত ৯টার দিয়ে জাহাঙ্গীর মৃত্যু বরন করে। এঘটনায় মহিষাশুরা ইউনিয়েনের ৭ নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক আমির হোসেন বাদি হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,শিল্প মন্ত্রী, স্থানীয় এমপিসহ আওয়ামীলীগের ১২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় বাংলাদেশ সরকারের সাবেক শিল্পমন্ত্রী এড. নূরুল মজিদ মাহামুদ হুমায়নকে ঢাকার গুলশান নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বুধবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৪র্থ আদালত এর বিচারক মো. রাকিবুল ইসলাম এর আদালতে শোপর্দ করা হয়। ওই সময় মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আসামী পক্ষের আইনজীবি সহ উভয় পক্ষের যুক্তি তর্ক শুনে আসামীর রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। ওই সময় আসামী পক্ষে আইনজীবি সমিতির সভাপতি সাধারন সম্পাদক সহ একাধিক আইনজীবি আদালতে উপস্তিত ছিলেন।এদিকে সাবেক শিল্পমন্ত্রী এড. নূরুল মজিদ মাহামুদ হুমায়নকে আদালতে শোপর্দর খবরে আদালত পাড়ায় জমায়েত হয় বিএনপির কারা নিযার্তিত নেতাকর্মীরা। ওই সময় মন্ত্রী হুমায়নকে পুলিশ ভ্যানে ওঠানোর সময় বিএনপির কারা নিযার্তিত নেতাকর্মীরা শিল্পমন্ত্রীর ফাঁসি চেয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। অপর দিকে শিল্পমন্ত্রীর মুক্তির দাবীতে আদালত পাড়ায় শ্লোগান দেওয়া হয়। আসামী পক্ষের আইনজীবি এড. খন্দকার হালিম বলেন,একটি হত্যামামলায় সাবেক শিল্পমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে মোপর্দ করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাবেক শিল্পমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আদালতের বিচারক আসামী ৭৮ বয়সী ও ওপেন হার্ট সাজারীর রোগী হওয়া রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ প্রদান করেন।