রংপুরে নিখোঁজের আট দিন পর রুবেল নামে দশম শ্রেণির এক মাদরাসার ছাত্রের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটিন গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশ জানায় পারিবারিক সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়েই নিহতের ভগ্নিপতি আপেল ও তাঁর বন্ধু মটর সাইকেল মেকানিক্স সোহাগ এঘটনা ঘটায়। রুবেল পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের বেল্লাল হোসেনের ছেলে। মঙ্গলবার ১১ জুন বিকেলে আরপিএমপি গোয়েন্দা কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মেট্রোপুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন। উল্লেখ্য গত ২ জুন রাত ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় রুবেল। এর পর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রুবেলের সন্ধান না পেয়ে বাবা বেলাল হোসেন গত ৩ জুন দুপুরে মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওই ডায়েরির সূত্র ধরে নিহতের ভগ্নিপতি হাসান আলী ওরফে আপেলকে সন্দেহভাজন হিসেবে সোমবার দুপুরে আটক করে পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহত রুবেলের বাবা বেলাল হোসেন বলেন, তার ছেলে রুবেল মিয়া স্থানীয় বড়দরগা বাজারে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে ক্লাস করার জন্য ২ জুন রাত ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। এ ঘটনায় গত ৩ জুন দুপুরে মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানায় তিনজনের নাম দিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) উৎপল কুমার রায় বলেন, নিখোঁজের পর থেকে বিভিন্ন মোবাইল ফোন নম্বর থেকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন রুবেলের ভগ্নিপতি হাসান আলী ওরফে আপেল। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে রুবেলকে গলা কেটে হত্যা করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে আসল রহস্য উদঘাটন হবে বলে জানান তিনি।