দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যরা। রবিবার বিকেলে এসব অভিযোগ তুলে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ইউনিয়ন পরিষদের ৯ জন সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যদের স্বাক্ষরিত অনাস্থাপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান অনাস্থাপত্র প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যদের অনাস্থা প্রস্তাবটি পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক বলছেন, কয়েকজন জামায়াতের ইউপি সদস্য এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে। অনাস্থাপত্রে ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেন, তিন অর্থ বছরে ইউনিয়ন পরিষদ ট্যাক্স, ভূমি উন্নয়ন কর ও ট্রেড লাইসেন্স থেকে পাওয়া অর্থ এবং উপজেলা থেকে প্রাপ্ত ১ শতাংশ অর্থ কোনো প্রকার উন্নয়নমূলক কাজ না করে তা আত্মসাৎ করে আসছেন চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক। উন্নয়ন তহবিল, কাবিখা, কাবিটা, টিআর, এডিপির প্রকল্পগুলো একক সিদ্ধান্তে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোনোটা আংশিক, কোনোটা বাস্তবায়ন না করে অর্থ আত্মসাৎ করছেন। তাছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন মেরামতের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থও আত্মসাৎ করেছেন। বয়স্ক ভাতা, বিধবাভাতা ও মাতৃকালীন ভাতার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার রেজ্যুলেশন ছাড়া নিজের পছন্দমতো ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করে উপজেলায় পাঠাচ্ছেন। ইউপি সদস্যদের কাছ থেকে তালিকা না নিয়ে ভিজিএফ কার্ডের তালিকা উপজেলায় পাঠিয়েছেন। তিনি মিটিং না করে ভয়-ভীতি ও হুমকি-ধমকি দিয়ে ইউপি সদস্যদের রেজ্যুলেশনে স্বাক্ষর নিয়ে আসছেন। তিনি একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বার্থে পরিষদ ভবনে পর্যাপ্ত কক্ষ থাকা সত্ত্বেও ইউপি সদস্যদের জন্য কোনো প্রকার বসার ব্যবস্থা রাখেন নাই। এমন দুর্নীতিগ্রস্ত ও স্বেচ্ছাচারী ব্যক্তির সাথে জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার সুযোগ না থাকায় অনাস্থা জ্ঞাপন করেন ইউপি সদস্যরা। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জামায়াত থেকে কয়েকজন ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। তারা ষড়যন্ত্র করে অন্য কয়েকজন সদস্যকে ভুল বুঝিয়ে ভিত্তিহীনভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্তে ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রের সত্যতা বেরিয়ে আসছে।