সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় অভিযুক্ত ধর্ষককে ছাড়াও ঘটনা মীমাংসা করা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ আরও ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষকের নাম আয়নাল হক ব্যাপারী (৬২)। অন্যদিকে মীমাংসাকারী আওয়ামী লীগের সভাপতির নাম আহমেদ মোস্তফা খান বাচ্চু। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর মামা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ইতোমধ্যে মামলার প্রধান আসামি আয়নাল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্যাতিত তরুণীর স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই তরুণীর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র থাকায় তিনি মায়ের সঙ্গে থাকতেন। তার মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। মঙ্গলবার ভোরে তার মা কাজে গেলে তরুণী বাড়ির বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে থাকেন। এ সময় তাকে ধরে এনে নির্জন বাগানবাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন বৃদ্ধ আয়নাল। পাশেই একটি কোচিং সেন্টারে পড়ানোর সময় একজন শিক্ষক বিষয়টি দেখে লোকজনকে ডেকে ধর্ষককে ধরে ফেলে। সকালেই স্থানীয় মাতব্বর এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমেদ মোস্তফা খান বাচ্চু, ছামান তালুকদার ও নুরু হাজীসহ কয়েকজন বসে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত অভিযান চালিয়ে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া ভুক্তভোগীকেও থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি পুলিশের কাছে বৃদ্ধ আয়নালের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দেন। এ বিষয়ে এনায়েতপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই তরুণীকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন আয়নাল ব্যাপারী। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমেদ মোস্তফা খান বাচ্চুর নেতৃত্বে ৫০ হাজার টাকায় মীমাংসাও করা হয়। খবর পেয়ে আমরা ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছি। এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষক আয়নাল হক, এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহম্মদ মোস্তফা খান বাচ্চুসহ আরও ৭ মাতবরকে আসামি করা হয়েছে। এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমেদ মোস্তফা খান বাচ্চুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলব না; থানা নিয়ে গেছে থানার সঙ্গে কথা বলেন। আপনি ৫০ হাজার টাকায় ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসার চেষ্টা করেছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি ফোন কেটে দেন।