কুমিল্লায় দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লার সদর উপজেলার শাসনগাছা লেগুনা স্ট্যান্ডে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। নিহত ছাত্রদল নেতা হলেন – স্থানীয় বাসিন্দা মো. আজহারের ছেলে ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী অর্ণব (৩০)। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের প্রস্তাবিত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। শাসনগাছা বাস টার্মিনালের সততা বাসের ম্যানেজারের চাকরিও করতেন অর্ণব। অন্যদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন- শাসনগাছা এলাকার নাজমুল জামান অনিক (২৮), নেয়ামত উল্লাহ (৩৫), নুরুল আফসার মোহন (২২) ও নাজমুল হাসান (২৬)। এদের মধ্যে নাজমুল হাসান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গোলাগুলির বিষয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু বলেন, অর্ণব নামাজ আদায় করে বের হয়েছিলেন। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকলেও তাকে বুকের বাঁ পাশে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, রাজনৈতিক প্রভাবে দীর্ঘদিন ধরেই শাসনগাছা লেগুনা স্ট্যান্ডসহ আশপাশের এলাকায় নীরব চাঁদাবাজি হচ্ছে। সরকার দলীয় স্থানীয় নেতাদের আধিপত্য বিস্তারে এই চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দিন পর পরই আধিপত্যের লড়াই হয়। যারা ক্ষমতার প্রদর্শন করেন তারাই শাসনগাছা বাস স্ট্যান্ডের নেতৃত্ব দেন। জানা গেছে, দীর্ঘদিন এই স্ট্যান্ডের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম। সম্প্রতি স্থানীয় মোল্লা বাড়ির রাব্বি তার গ্রুপ নিয়ে লেগুনা স্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তার করেন। এতেই বাঁধে বিপত্তি। এসব নিয়েই শুক্রবার জুমার নামাজের পর তর্কাতর্কি শুরু হয় সক্রিয় দুই গ্রুপের। এসময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরাই দেশীয় অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নেমে পড়েন ও গোলাগুলি হয়। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, লেগুনা স্ট্যান্ড নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় দুই পক্ষ গোলাগুলি শুরু করলে অর্ণব নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। অর্ণব দুই গ্রুপের কোনো একটির সদস্য নাকি পথচারী তা এখনও জানা যায়নি।