কুমিল্লায় এক বাক প্রতিবন্ধীর স্ত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। রোববার (৬ আগস্ট) কুমিল্লা নগরীর ২০ নং ওয়ার্ডের লক্ষীনগর এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়,কুমিল্লা নগরীর ২০ নং ওয়ার্ডের লক্ষীনগর এলাকায় বাক প্রতিবন্ধী সৈকত হোসেনের স্ত্রীকে (ফাহিমা আক্তার ১৯) জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে একই এলাকার অভিযুক্ত ধর্ষক আ: সালাম ওরফে থাই সালাম (৪০)। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অভিযুক্ত সালামের বিরুদ্ধে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী। এ ঘটনার পর থেকে পরিবার নিয়ে পলাতক রয়েছে অভিযুক্তসহ তার সপরিবার। মানববন্ধনে ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত আ: সালাম (থাই সালাম) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার ২০ নং ওয়ার্ডের লক্ষীনগর প্রকাশ দিশাবন্দ এলাকার মৃত আলী আহাম্মদের ছেলে। গত ২৮ জুলাই শুক্রবার বেলা ৩ টার দিকে বাক প্রতিবন্ধীর ওই গৃহবধূকে বাড়িতে একা রেখে একই এলাকায় দিন মজুরের কাজে যান তার বাক প্রতিবন্ধী স্বামী , এ সুযোগে প্রতিবেশী মামা শশুর আ. সালাম (থাই সালাম) ভুক্তভোগী নারীর বাড়িতে এসে ওই গৃহবধূকে তারই নিজ ঘরে মুখে চাপ দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় হঠাৎ করে ওই গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে আসলে ধর্ষক আ.সালাম নিজেই দরজা খুলে পালানোর সময় ধর্ষক সালামকে হাতেনাতে আটক করেন স্বামী। পরে অভিযুক্ত সালাম প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী গৃহবধূ ফাহিমা আক্তার (১৯) বলেন, আমাকে বিভিন্ন সময় ফোন দিয়ে খারাপ কাজের প্রস্তাব দিতো পাশের বাড়ির মামা শ্বশুর সালাম । আমি তার ফোন কেটে দিলে আমার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দিতো ওনি। শুক্রবার আমার স্বামী বাসা না থাকায় ৩টার দিকে সে আমার রুমে এসে ঢুকে পরে আমাকে ধাক্কা দিয়ে খাটে ফেলে আমার সাথে সব ধরনের খারাপ কাজ করে। আমি যাতে চিৎকার দিতে না পারি সেজন্য আমার মুখে চাপ দিয়ে ধরে রাখে এবং আমার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তাই আমি ভয়ে চিৎকার দেইনি। আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি মামলার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে আমার নিরাপত্তা চাই। সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ২০ নং ওয়ার্ডের লক্ষীনগর প্রকাশে দিশাবন্দ এলাকায় বাক প্রতিবন্ধী ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আ. সালামের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে এবং মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। মানববন্ধনে উপস্থিত সবাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষী ব্যক্তির শাস্তি দাবী করেছেন।