জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়বে, ফলে তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বর্ধিত ১২.৫ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হবে। এ ছাড়া ২০৫০ সালের মধ্যে শুধু বন্যার কারণে কৃষিখাতে জিডিপি কমবে এক-তৃতীয়াংশ এবং জাতীয়ভাবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ ফসলি জমি সংকুচিত হবে যা খাদ্য নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর নগরীর এসোড প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত কর্মশালায় বিশ্বব্যাংকের ‘কান্ট্রি ক্লাইমেট ও ডেভেলপমেন্ট’-২০২২ এর প্রকাশিত প্রতিবেদনের এ তথ্য তুলে ধরা হয়। জলবায়ু পরিবর্তন ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিভাগীয় এ কর্মশালার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। বিশ্বব্যাংকের ‘কান্ট্রি ক্লাইমেট ও ডেভেলপমেন্ট’-২০২২ এর প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃষ্টিপাত ৪ শতাংশ বাড়লে উপকূলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ২৭ সেন্টিমিটার বাড়তে পারে ফলে সম্পদহানির পরিমাণ হবে ৩০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ। বৈশ্বিক এবং দেশীয় প্রেক্ষাপটে জলবায়ু পরিবর্তন ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে কর্মশালায় বক্তারা জনসচেতনতা সৃষ্টি, আইনের যথাযথ প্রয়োগ, পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ এবং পরিকল্পিত উন্নয়নসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. তুহিন ওয়াদুদের সভাপতিত্বে এবং বেলার রাজশাহী কার্যালয়ের সমন্বয়কারী তন্ময় কুমার সান্যালের পরিচালনায় কর্মশালায় অতিথি ছিলেন রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. ওয়াজেদ আলী, রংপুর বিভাগীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ কুমার সাহা এবং জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়। কর্মশালায় বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।