গাজীপুরের শ্রীপুরে বরামা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক আবুল কালামকে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে অফিস সহকারী আমিনুল হকের বিরুদ্ধে। গত বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ২ টায় প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম শ্রীপুর মডেল থানা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বরাবর পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, গত ২০২২ সালের ৫ মার্চ থেকে ৩০ মে ২০২৩ পর্যন্ত বরামা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন আবুল কালাম। নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফারজানা বেগম দায়িত্ব গ্রহনের পর গত ১২ সেপ্টেম্বর অফিস সহকারী আমিনুল মাদরাসার সরকারী বই ও কাগজ গোপনে বিক্রি করে। মাদরাসার অধ্যক্ষের জন্য বরাদ্দকৃত সিম নিজে ব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতি করার কারণে সভাপতির নির্দেশক্রমে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। কিন্তু নোটিশের জবাব না দিয়ে সহকারী অধ্যাপকের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় অফিস সহকারী আমিনুল হক। এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ অক্টোবর দুপুরে পূর্বের ঘটনার জের ধরে মাদরাসায় শিক্ষক-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে আমিনুল। তখন প্রতিবাদ করলে আমিনুল সহকারী অধ্যাপক আবুল কালামকে মারধর করে এবং অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় আবুল কালাম আজাদ মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হয়।পরে মাদরাসার গভর্নিং বডির সদস্য ও মাদরাসার শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেন। এবিষয়ে জানতে মাদ্রাসায় গিয়ে অভিযুক্ত আমিনুল হককে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমিন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি দেখব। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল ফজল মোহাম্মদ নাসিম বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও তরিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও মাদরাসার সভাপতি মোঃ ওয়াহ বলেন, থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে আমি খোঁজ নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।